স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: রাজ্যের শাসক দলের সমালোচনায় সরব হয়েছেন তিনি৷ তারপর থেকেই অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষের বিজেপি যোগ নিয়ে জল্পনা চলছে৷ সেই জল্পনা আরও বাড়িয়ে রাজ্য সরকার আয়োজিত কলকাতা আন্তর্জাতিক উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেলেন না রুদ্রনীল ৷

শুক্রবার নবান্ন সভাঘর থেকে ভার্চুয়ালি ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ছিল। উদ্বোধন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ছিলেন না এতদিন তৃণমূলের ঘনিষ্ট বৃত্তে থাকা রুদ্রনীল ঘোষ। যদিও তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু তথা কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারম্যান রাজ চক্রবর্তী। ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে না আসার কারণ হিসেবে রুদ্রনীল জানান, ‘ব্যক্তিগত কিছু কাজ আছে৷ তাই আমি যেতে পারছি না। আমাকে রাজ আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।’

ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের খরচ নিয়েও কিছুটা সরব হয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ। তিনি বলেন ” আমফান, করোনা পরিস্থিতির পর কোটি কোটি টাকা খরচ করে ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের আয়োজনের কতটা যৌক্তিকতা রয়েছে, তা নিয়ে আমার মনে প্রশ্ন রয়েছে৷ এর কিছুটা অংশ গরিব মানুষের কাজে লাগালে বোধহয় ভাল হতো।’তবে শুক্রবার ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে না যাওয়ার সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলেই দাবি করেছেন টলিউডের অভিনেতা। তিনি বলেন, ‘ফিল্ম ফেস্টিভালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় পরিবর্তন হয়েছে। আমার কিছু নির্দিষ্ট কাজ আগে থেকেই ছিল। তাই আমি যেতে পারছিনা।

বুধবার ছিল অভিনেতার জন্মদিন। সেদিনই তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঘুরিয়ে মুখ খোলেন তিনি। আর সন্ধ্যাতেই তাঁর বাড়িতে হাজির হন বিজেপির যুব নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। রুদ্রনীলকে জন্মদিনে গোলাপগুচ্ছ দিয়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। দীর্ঘ বৈঠক হয় দুজনের মধ্যে। তার পরই মনে করা হচ্ছে রুদ্রনীলের বিজেপিতে যোগদান সময়ের অপেক্ষা।

সে প্রসঙ্গে রুদ্রনীল বলেন, শঙ্কুর সঙ্গে আমার পরিচয় পুরনো। লোকসভা নির্বাচনের আগেও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে একবার কথা হয়েছিল। আমি রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করলে ফের যোগাযোগ করেন তিনি। তিনি আমার কাছে আমার ভাবনা জানতে চেয়েছেন। সঙ্গে কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে দেখা করার প্রস্তাব দেন। আমি সেই প্রস্তাবে রাজি হয়েছি। তবে এখনো কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি।

বলে রাখি, গতকাল নিজের জন্মদিন পালনের উৎসবে রাজনীতিতে সক্রিয় হতে চান বলে জানান রুদ্রনীল। অভিনেতা বলেন, যারা মানুষের জন্য সঠিক কথা বলছেন বলে মনে হবে তাদের সঙ্গে থাকবো।

২০১১-য় তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর দীর্ঘদিন বামেদের প্রতিই আস্থা রেখেছিলেন রুদ্রনীল। ২০১৬-য় তৃণমূল ফেরার পর তিনি ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখান। ভেট হিসাবে মোটা মাইনের সরকারি পদ পান তিনি। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে তৃণমূলের সমালোচনায় মুখর ছিলেন রুদ্রনীল। সম্প্রতি হাওড়ায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মঞ্চে তাঁকে দেখা যায়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।