কয়েকদিনের মধ্যেই ভ্যাকসিন পাবেন ভারতীয়রা, আশ্বাস হর্ষ বর্ধনের
১৩ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ভ্যাকসিন প্রদান কর্মসূচী শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। শুক্রবার থেকে কোভিড টিকাদানের দ্বিতীয় দফার ড্রাই রানও শুরু হয়ে গিয়েছে। কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিনকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনও দিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। এতকিছু কর্মকাণ্ডের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী হর্ষ বর্ধন শুক্রবার জানিয়েছেন যে খুব শীঘ্রই ঝুঁকিতে থাকা অগ্রাধিকারের গোষ্ঠীকে টিকাদানের পর দেশের গোটা জনসংখ্যা কোভিড–১৯–এর বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন গ্রহণ করতে পারবেন।

কোভিড প্ল্যাটফর্ম
কেন্দ্র নতুন কোভিড প্ল্যাটফর্ম তৈরি করেছে, যার মাধ্যমে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন সুবিধাভোগীদের বিশদ বিবরণ এবং তাঁদের বৈদ্যুতিন শংসাপত্র দেওয়া হবে। হর্ষ বর্ধন রাজ্যব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসাবে রাজীব গান্ধী সরকারী জেনারেল হাসপাতালে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার ড্রাই রান পর্যালোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

ভারত কম সময়ে ভ্যাকসিন বিকাশে দক্ষতা দেখিয়েছে
স্বাস্থ্যমন্ত্রী এও জানিয়েছেন যে ভারত সম্ভাব্য কম সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন বিকাশে অত্যাধিক ভালো কাজ করেছে এবং বর্তমানে দু'টি ভ্যাকসিন প্রার্থীকে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে সরকার। তিনি বলেন, ‘কিছুদিনের মধ্যেই, আগামী ভবিষ্যতে, সরকারি ও বেসরকারি ক্ষেত্রে ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীদের ভ্যাকসিন দেওয়ার পর গোটা দেশের নাগরিকদের ভ্যাকসিন প্রদান করা হবে। সরকার ইতিমধ্যেই তার এই প্রকল্পের কথা জানিয়েছে।' এদিন করোনা টিকার দ্বিতীয় মহড়া দেখতে চেন্নাইয়ে পৌঁছায় হর্ষ বর্ধন। তিনি এখানে সরকারি ওমানদুরার হাসপাতালে যান এবং আরও কিছু কেন্দ্র ঘুরে দেখেন। ১.৩৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার দেশ ভারতে সবকিছু খুব সুচারুভাবে ও ত্রুটিছাড়া সম্পন্ন হয়েছে।

লক্ষ লক্ষ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ
হর্ষ বর্ধন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী টিকা দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশেষজ্ঞ দল গঠন করার চার-পাঁচ মাস পর আমরা কোভিডের বিরুদ্ধে আসন্ন ভ্যাকসিন ড্রাইভের প্রস্তুতি শুরু করেছি। আমরা সমস্ত মিনিট বিশদে কাজ করেছিলাম এবং তৃণমূল পর্যায়ের যারা তাদের সঙ্গে তথ্য ভাগ করে নিই।' কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর কথায়, এই ড্রাই রানের মাধ্যমে লাখ লাখ স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। আরও অনেককে দেওয়া বাকি রয়েছে।

দেশে সুস্থতার হার সর্বোচ্চ
ভারত এখন বর্তমানে সুস্থতার হারের দিক থেকে সর্বোচ্চ জায়গায়রয়েছে এবং দেশে মৃত্যুর সংখ্যাও কমছে এবং সংক্রমিত রোগীদের চিকিৎসা হচ্ছে, তাঁরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফির যাচ্ছেন। এখানে উল্লেখ্য, দেশটির ৩৩টি রাজ্যের ৭৩৬টি জেলায় দ্বিতীয় পর্যায়ের ড্রাই রান চলছে।
করোনার টিকা সবার আগে মোদী নিন, আবদার লালুপুত্র তেজ প্রতাপের