স্টাফ রিপোর্টার, কল্যানী: রাজ্যবাসীর জন্য সুখবর৷ জানুয়ারি মাসেই চালু হতে চলেছে নদিয়ার কল্যাণীর অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (AIIMS)-এর বহির্বিভাগ। এখন ছোট আকারে আউটডোর পরিষেবা চালু হলেও এইমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামী এপ্রিলে এটি সম্পূর্ণভাবে চালু হয়ে যাবে। অন্তর্বিভাগ অর্থাৎ রোগী ভরতির প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে সেপ্টেম্বর মাস থেকে।
বহু রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর ২০১৫ সালের ৭ অক্টোবর ডঃ বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের কল্যাণীতেই এইমস তৈরির অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। যদিও কোথায় তা তৈরি হবে, সেই প্রশ্ন উঠতেই অধিকাংশের মত ছিল, ডা: বিধানচন্দ্র রায়ের স্বপ্নের নগরী কল্যাণীতেই তৈরি হোক এইমস। আরেকপক্ষ অবশ্য উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে এইমস করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে যান। কল্যাণী না রায়গঞ্জ? তা নিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানির খেলায় অবশেষে জয় হয় কল্যাণীরই। শুরু হয়ে যায় কল্যাণীতে এইমস তৈরির জন্য জমির খোঁজ। কল্যাণীর বসন্তপুরে মোট ১৭৯.৬ একর জমিতে এইমস তৈরির সরকারি সিলমোহর পড়ে। এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশেষ উদ্যোগে শুরু হয়ে যায় এইমসের ভবন তৈরির কাজ। মোট ১২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এইমসের ভবন তৈরির কাজ বর্তমানে দ্রুতগতিতে চলছে।এছাড়া, এইমস থেকে জাতীয় সড়কের সংযোগকারী রাস্তা চওড়া করে ৪ লেনের করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দেশের সপ্তম এইমস হিসেবে আত্মপ্রকাশের জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কল্যাণী। আপাতত ৯৬০ টি শয্যার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে নবনির্মিত এইমসের। এইমস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসে রোগী ভরতির প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে চাইছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, কল্যাণী এইমস-এর মেন্টর ইনস্টিটিউট হিসেবে বিশেষ দায়িত্ব পালন করছে ভুবনেশ্বর এইমস৷ তাদের তত্ত্বাবধানেই বেড়ে উঠছে রাজ্যের প্রথম সুপার স্পেশালিটি কেন্দ্রীয় সরকারি মেডিক্যাল কলেজ৷ সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা প্রদানের পাশাপাশি এই প্রতিষ্ঠানকে ‘সেন্টার অব এক্সিলেন্স’ তথা মেডিকেল এডুকেশন হাব হিসেবে তুলে ধরতে চাইছে কেন্দ্র৷ এইমসে শুধু যে আধুনিক চিকিৎসার সুবিধা হবে, তা নয়, কল্যাণীতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ হবে। দেশ-বিদেশ থেকে যাঁরা চিকিৎসা করাতে আসবেন, তাঁদের থাকা খাওয়ার জন্য হোটেলও তৈরি হবে। রেল ও সড়কপথে কলকাতা থেকে কল্যাণী কাছেই। তাই কলকাতার মানুষেরাও এইমসের সুবিধা নিতে পারবেন।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা দখলের টার্গেট নিয়েছে বিজেপি। তাই ভোটের আগেই বাংলাকে এইমস উপহার দিতে চাইছে মোদী সরকার। সেই কারণেই এমাসেই আউটডোর পরিষেবা চালু করা হচ্ছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.