খড়গপুর: টেকনিক্যাল ইন্সটিটিউটে শুরু ভারতের বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্যের অন্বেষণ৷ আইআইটি খড়গপুরে এক অভিনব ক্যালেন্ডার নিয়ে এল নেহরু মিউজিয়াম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি৷ ইন্ডিক স্টাডির নজর কাড়া বিষয়গুলি নিয়ে তৈরি হয়েছে ‘ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম’৷ সর্বোপরী এটি নয়া জাতীয় শিক্ষানীতির জন্য অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক৷
এই ক্যালেন্ডারের সূচনায় রয়েছে ভারতের সাত ঋষি অর্থাৎ সপ্তর্ষি’র উপর একটি নোট দিয়ে৷ এর পর ক্রমেই এসেছে আধুনিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সাধনায় ভারতের বৈজ্ঞানিক ঐতিহ্যের প্রসঙ্গ৷ এছাড়াও রয়েছে ভারতের অর্থশাস্ত্র, সংস্কৃত, বৈদিক এবং ভারতের সনাতন গণিতের কথা৷
অ্যাকাডেমি অফ ক্লাসিক্যাল অ্যান্ড ফোক আর্টের সহ-অধ্যাপক ইনচার্জ এবং নেহরু মিউজিয়াম সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির চেয়ারম্যান জয় সেন বলেন, ‘‘এই ক্যালেন্ডার নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভালো সাড়া মিলেছে৷ এমন একটি অসাধারণ ক্যালেন্ডার তৈরির পিছনে ড. অর্ণব কুমার হাজরার অবদান অনস্বীকার্য৷ তাঁকে ধন্যবাদ জানাই৷ এই ক্যালেন্ডার বিশ্বের শিক্ষা জগতে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে৷’’ তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যেই জাপান, দক্ষিণ আফ্রিকা এবং উত্তর ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে এই ক্যালেন্ডারের জন্য আবেদন করা হয়েছে৷
জয় সেন আরও বলেন, এই ক্যালেন্ডার তৈরির পিছনে মূল ধারণা হল গবেষণার পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে ছাত্র ও শিক্ষকদের মধ্যে ভারতের ঐতিহ্য সম্পর্কে আগ্রহ তৈরি করা৷ প্রসঙ্গত, গত বছর অগাস্ট মাসে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখারিয়াল নিশাঙ্ক আইআইটি খড়গপুরে ‘সেন্টার অফ এক্সেলেন্স ফর ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম’ তৈরির কথা বলেছিলেন৷
আইআই খড়গপুর আয়োজিত আন্তর্জাতিক ওয়েবিনার ‘ভারত তীর্থে’র উদ্বোধনে এসে ‘ইন্ডিয়ান নলেজ সিস্টেম’ নিয়ে বিভিন্ন শাখায় যে কাজ চলছে তার প্রশংসা করেছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখারিয়াল নিশাঙ্ক৷ আইআইটি খড়গপুরের ডিরেক্টর প্রফেসর বীরেন্দ্র কুমার তিওয়ারি মনে করেন, সম্মানজনক পুরস্কারের মাধ্যমে ভারতীয় বিজ্ঞানের ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার কাজকে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.