স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: দাড়ি রেখে রবীন্দ্রনাথ হওয়ার চেষ্টা করছেন মোদী। এসব করে কোনও লাভ নেই৷ এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফের আক্রমণ করলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতা ভুল বলেছেন বলেও দাবি করেছেন তিনি৷ সৌগত রায়ের কটাক্ষের সুরে বলেন, গাঁজার মতো মাদক খেয়ে বিজেপি নেতারা বাংলার ক্ষমতা দখলের স্বপ্ন দেখছে।

একুশের মহারণের আগে প্রধানমন্ত্রীর মুখে বারবার ফিরে এসেছে বিশ্বকবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম। বিশ্বভারতীর শতবর্ষ উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে রবি ঠাকুরের কবিতা পাঠের মধ্য দিয়েই তাঁকে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।মোদীর বাংলা কবিতা উচ্চারণে সমস্যা প্রসঙ্গে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “মোদী ভুল বাংলা কবিতা বলছেন৷ এভাবে বাঙালি হওয়ার চেষ্টা করছেন। উনি কোনওদিন সঠিকভাবে বাংলায় কবিতা বলতে পারলে তৃণমূলের হয়ে আর সওয়াল করব না।” এর আগেও তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ এই একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছিলেন৷ বলেছিলেন, ‘লম্বা দাড়ি রাখলেই কেউ রবীন্দ্রনাথ হয় না ৷ তাহলে তো রামছাগলও রবীন্দ্রনাথ হত৷ ’

কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতিও রবীন্দ্র ভাবনায় অনুপ্রাণিত, একথা বলেছিলেন নমো। বারবার মোদীর রবি-স্মরণ দেখে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি বাংলায় বিধানসভা ভোটকে পাখির চোখ করেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শরণাপন্ন হয়েছেন মোদী।

এদিন বরানগরের সভা থেকে কেন্দ্র ও বিজেপি নেতাদের আক্রমণ করেন সৌগত রায়। লাভ জিহাদ ও গো হত্যা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “গো হত্যা বাংলায় বেআইনি নয়। আর তা হতে দেবে না তৃণমূল। লাভ জিহাদ নিয়ে মামলা হয়েছে। তবে সে বিষয়ে এখনও কোনও রায় ঘোষিত হয়নি। বাংলায় ধর্মনিরপেক্ষতা আর সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির লড়াই চলছে। একুশে মানুষ বুঝিয়ে দেবেন তাঁরা কী চান।”

এদিকে, এদিন রামলীলা ময়দানে বক্তব্য রাখেন ফিরহাদ হাকিম। বিজেপিকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘আমরা সংবাদমাধ্যমকে খবর প্রচারে বাধা দিই না। বিরোধীদের গ্রেফতার করে কণ্ঠরোধ করি না। বিরোধীদের পিছনে এজেন্সি লাগিয়ে দিই না।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।