নয়াদিল্লি : ৮ই জানুয়ারি নতুন করে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র ও কৃষক সংগঠন। তবে তার আগে সুর চড়ালেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। পরিষ্কার জানিয়ে দিলেন সরকার দাবি দাওয়া না মেনে নিলে কোনওবাবেই আন্দোলন থেকে পিছু সরবেন না তাঁরা। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের মুখপাত্র টিকাইত জি নিউজকে জানান কেন্দ্রকে নিজেদের অনড় অবস্থান থেকে সরতে হবেই। নয়তো ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। সেই ক্ষমতা কৃষকদের রয়েছে।

কেন্দ্রের সঙ্গে অষ্টম দফা আলোচনার আগে কৃষকদের এই বক্তব্য বৈঠকের যৌক্তিকতা ও সাফল্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। কারণ কেন্দ্রের পক্ষ থেকেও কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর জানিয়েছেন কৃষকদের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা চলতে পারে, কিন্তু কৃষি বিল বাতিলের কথা ভাবছে না কেন্দ্র। তবে কিছু পরিবর্তন করা যেতে পারে।

টিকাইত এদিন বলেন বারবারই কেন্দ্রের কাছে কৃষি বিল বাতিলের দাবি তোলা হয়েছে, কিন্তু কেন্দ্র কোনওভাবেই তাতে কর্ণপাত করছে না। তাই কৃষকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ২০২৪ সালের মে মাস পর্যন্ত বিক্ষোভ চালাতে পারেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে কৃষিকাজ ও আন্দোলন একসাথে চলবে। সেরকমই পরিকল্পনা করা হচ্ছে তাঁদের পক্ষ থেকে। এদিকে শুক্রবার অর্থাৎ ৮ই জানুয়ারি বেলা ২টোর সময়ে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র ও কৃষকরা।

প্রতি বৈঠকের মতো এবারও কৃষকদের দাবি থাকছে তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার। কিন্তু আগের বৈঠকগুলিতে কৃষকেরা এই একই দাবি তুললেও মন্ত্রীরা ঘুরে ফিরে আইন সংশোধনের কথাই বলেছেন। আর সেটা মানতে নারাজ কৃষক প্রতিনিধিরা। শুক্রবার দুপুর ২ টোয় বিজ্ঞানভবনে এই বৈঠক করবেন কৃষকেরা। একদিকে থাকছেন কৃষক নেতারা ও অন্যদিকে থাকছেন খাদ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল ও বাণিজ্যমন্ত্রী সোম প্রকাশ ও কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমর।

এর আগে গত সোমবার বৈঠক হয় কেন্দ্র ও কৃষকদের। সেখানে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয় তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করে আলোচনা করা হবে তখনই বৈঠকে উপস্থিত কৃষকেরা গর্জে ওঠেন। শেষ পর্যন্ত নিষ্ফলা হয় একের পর এক বৈঠক।

কৃষকদের বক্তব্য, কেন্দ্রের‌ পক্ষ থেকে মন্ত্রীরা ঘুরে ফিরে আইন সংশোধনের কথাই বলেছেন। আর সেটা মানতে নারাজ কৃষক প্রতিনিধিরা। তারা একেবারে অনড় কৃষি আইন বাতিলের ব্যাপারে। সরকারের পক্ষ থেকে অযথা কালক্ষেপ একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না কৃষক নেতারা। ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন এমন চললে আন্দোলনের মাত্রা বাড়বে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।