মেয়াদের আগেই হোয়াইট হাউজ ছাড়তে হবে ট্রাম্পকে! ক্রমেই জোরালো হচ্ছে সম্ভাবনা
গোলাগুলি, হিংসার পর অবশেষে হার মানলেন ট্রাম্প। ব্যর্থ হল ২০২০-র প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের ফলাফলকে উল্টে দেওয়ার উদ্দেশে রিপাবলিকানদের সমস্ত প্রচেষ্টা। হিংসার পর পিছু হটার বার্তা দিলেন বিদায়ি প্রেসিডেন্ট। মেনে নিলেন কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত। হিংসার আবহেই শেষ হল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা পর্ব৷

ট্রাম্পের কার্যকলাপ ভালো ভাবে নিতে পারছেন না তাঁর ক্যাবিনেট সদস্যরাই
তবে ট্রাম্পের কার্যকলাপ ভালো ভাবে নিতে পারছেন না তাঁর ক্যাবিনেট সদস্য এবং দলের নেতারাও। তাঁর পাশে নেই নিজের মন্ত্রীরাও। আর এর জেরেই মনে করা হচ্ছে যে মেয়াদের আগেই মার্কিন প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরানো হতে পারে ট্রাম্পকে। বৃহস্পতিবার ক্যাপিটলে হামলার পরেই এ নিয়ে আলোচনা বসল খোদ ট্রাম্পেরই মন্ত্রিসভা।

প্রেসিডেন্টের চেয়ার থেকে সরানো হতে পারে ট্রাম্পকে
প্রেসিডেন্ট হিসাবে ট্রাম্পের মেয়াদ ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত। তবে মেয়াদ শেষ হওয়ার দুই সপ্তাহ আগেই আমেরিকার প্রেসিডেন্টের চেয়ার থেকে সরানো হতে পারে ট্রাম্পকে। ক্যাপিটলে হামলার ঘটনার পর ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের সম্ভাবনা প্রবল হয়ে দাঁড়িয়েছে। ২৫ নম্বর সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।

ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে চিঠি আইন কমিটির
জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই সংসদের আইন বিষয়ক কমিটি ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে চিঠি পাঠিয়ে ট্রাম্পকে সরাতে পদক্ষেপ করতে বলেছেন ডেমোক্র্যাট সেনেটররা। আমেরিকার জনগণের এক বড় অংশ ট্রাম্পের উপর বেজায় চটেছেন। ক্যাপিটল হিলে তাণ্ডব চাক্ষুষ করা জনপ্রতিনিধিরাও ক্ষুব্ধ মার্কিন প্রেসিডেন্টের উপর। এই আবহে ট্রাম্পের নিযুক্ত ক্যাবিনেট প্রেসিডেন্টকে সরানোর বিষয়ে ভাবনা চিন্তা করছে বলে জানা গিয়েছে সূত্র মারফত।

ট্রাম্প কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বাইডেনের ৩০৬-২৩২ নির্বাচনী ভোটে জয়ের নিশ্চয়তা ট্রাম্প এবং তাঁর অনুগামীদের দ্বারা ২০২০-র প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনের ফলাফলকে উল্টে দেওয়ার জন্য অতুলনীয় ও বিতর্কিত প্রচেষ্টাকেও রুখে দিল। একইসঙ্গে প্রশস্ত হল বাইডেনের আমেরিকার পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ। ডোনাল্ড ট্রাম্পও কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।