ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে কার্যত সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন রুদ্রনীল! হাতে থাকবে কোন 'ফুল'?
রুদ্রনীল কি কার্যত ভোঁটে দাঁড়াবেন বলে নিশ্চিত করে ফেলেছেন। এই প্রশ্ন এখন ঘুরঘুর করছে বঙ্গ রাজনৈতিক মহলে। কিন্তু কী ভাবছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ? কার হাত ধরছেন তিনি? রাজনৈতিক আঙিনায় রুদ্রনীলকে নিয়ে ক্রমেই জল্পনার পারদ চড়েছে। এই পারদ চড়ার সূত্রপাত রুদ্রনীলের জন্মদিন থেকে। সেদিনই রুদ্নীলের সঙ্গে দেখা করতে যান বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরপরই রুদ্রনীলের সঙ্গে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র বৈঠক হবে বলে জানা যায়।

রুদ্রনীলের সঙ্গে বিজেপি, তৃণমূল, উভয় দলই কথা বলেছে
এই বিষয়ে এবার সংবাদ মাধ্যমে মুখ খোলেন রুদ্রনীল নিজে। রুদ্রনীলের নিজের ভাষায়, তিনি খুব ছোটোবেলা থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয়েছে তাঁর। এককালীন এই বামপন্থীর গলায় অবশ্য বর্তমানের বাম নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধার প্রতিফলন পাওয়া গেল না। বরং কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলানোয় বামপন্থীদের বিদ্রুপ করেন রুদ্রনীল। এই অবস্থায় রুদ্রনীলের সঙ্গে বিজেপি, তৃণমূল, উভয় দলই কথা বলেছে বলে জানা গিয়েছে।

কী সিদ্ধান্ত নিলেন রুদ্রনীল?
সাম্প্রতিক কালে তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই রাজনৈতিক পরিচিতি বেড়েছে রুদ্রনীলের। তবে দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরতদের মতো ভোটের রাজনীতিতে নামেননি কখনওই। তবে কৈলাশ বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে রুদ্রনীল বৈঠকে বসতে রাজি হওয়াতে এবার সমীকরণ বদলাতে পারে বলে মনে করতে শুরু করেছেন অনেকেই। এই বিষয়ে রুদ্রনীল নিজে অবশ্য এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেননি বলেই জানিয়েছেন।

কোন দলকে সমর্থন জানাবেন?
তবে কোন দলকে সমর্থন জানাবেন, সেই বিষয়ে গণমাধমকে রুদ্রনীল বলেছেন, 'আজ সবাই জানতে চায় আমি কোন দলে যোগ দিচ্ছি? তৃণমূল আর বিজেপি, দুই দলের সঙ্গেই আমার রাজনীতি বিষয়ে অনেক কথা হয়েছে। কৈলাস বিজয়বর্গীয় আমার অনেক দিনের চেনা।ওঁর সঙ্গেও কথা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচনে দাঁড়াব কিনা সেই বিষয়ে ভাবার সময় এখনও আসেনি।'

বিজেপি-কে অচ্ছুৎ বলে মনে করেন না রুদ্রনীল
এদিকে রুদ্রনীল আরও বলেন, 'সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে বিজেপি-র যা চেহারা, বাংলায় এক চেহারা থাকবে না। অনেকেই এখন বিজেপি-কে অচ্ছুৎ বলে মনে করেন। আমি এক জন প্রাক্তন রাজনৈতিক কর্মী হয়ে বলতে পারি, আমি কোনও রাজনৈতিক দলকেই অচ্ছুৎ বলে মনে করি না।'