এপ্রিলেই কি ভোটের লাইনে বাংলা! সাত দফায় কি নির্বাচন? কোন ইঙ্গিত দিল নির্বাচন কমিশন
আনুষ্ঠানিক ভোটের ঘোষণা না হলেও রাজনৈতিক দিক দিয়ে কিন্তু বাংলায় ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। রাজনৈতিক দল গুলি প্রচারে পারদ চড়িয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেস-বিজেপি দফায় দফায় প্রচার অভিযান শুরু করে গিয়েছে। দিল্লি থেকে বিজেপির নেতারা দফায় দফায় আসছেন বাংলায়। একুশের পাখির চোখ করে এগোচ্ছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই ভোট কবে তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে। মনে করা হচ্ছে এপ্রিল মাসেই বাংলায় বিধানসভা ভোট করানোর কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। আবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার লক্ষ্যে সাত দফায় ভোট করানোর কথা ভাবছেন তাঁরা।

কবে ভোট বাংলায়
ইতিমধ্যেই একুশের বিধানসভা ভোটের পারদ চড়তে শুরু করেছে বাংলা। ঘুরে গিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। রাজ্যের পুলিস আধিকারীক ও জেলা শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সূত্রের খবর এপ্রিল মাসেই রাজ্যে ভোট করানোর কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন। করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বেশি দফায় ভোট করানোর কথা ভাবা হচ্ছে। মনে করা হচ্ছে ৭ দফায় হবে ভোট। যদিও েই নিয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। করোনা সংক্রমণের কারণে এবার বুথের সংখ্যাও বেশি থাকবে বলে মনে করা হয়েছে।

কমিশনে বিজেপি
ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভোট নিয়ে দিল্লিতে নির্বাচন কমিশনের কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়েছে বিজেপি। তাতে অবিলম্বে রাজ্যে বাড়তি বাহিনী মোতায়েন করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। রাজ্যে ইতিমধ্যেই বাড়তি ২ কোম্পানি সিআরপিএফ বাহিনী পাঠানো হয়েছে। সূত্রের খবর বিধানসভা নির্বাচন কমিশনের কথা মাথায় রেখেই এই বাড়তি বাহিনী পাঠানো হয়েছে। এই অতিরিক্ত বাহিনী রাজ্যে আসা ভিভিআইপিদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য রাজ্যে প্রচারের কাজে এসে আক্রান্ত হয়েছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তারপরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

কবে ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা
খুব সম্ভভত মার্চ মাসেই একুশের ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বরে রাজ্য সফরে এসে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছিলেন উপ নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। মনে করা হচ্ছে এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহেই হবে ভোট। করোনা কারণে সাত দফায় প্রায় এক মাস ধরেই ভোট হবে। সেক্ষেত্রে এপ্রিলের শেষে অথবা মে মাসের প্রথমেই ভোেটর ফলাফল ঘোষণা করা হয়ে যাবে। তাহলে মে মাসের মধ্যেই নতুন সরকার গঠন করা যাবে।

বিহার মডেল
করোনা আবহে প্রথম ভোট হয়েছে বিহারে। সেই মডেলকে সামনে রেখেই বাংলাতেও ভোট করানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে নির্বাচন অবাধ করতে বাংলায় বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতােয়ন করা হতে পারে। বিরোধীরা বারবারই বাড়তি কেন্দ্রীয় বাহিনী দাবি করেছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। একুশের ভোটকে টার্গেট করে এগোচ্ছে বিজেপিও। কাজেই বাংলার ভোটকেও নজির করে রাখতে চায় বিজেপি।