সিডনি: বক্সিং ডে টেস্টে অভিষেকেই নজর কেড়েছিলেন৷ অল্পের জন্য অভিষেক টেস্টে হাফ-সেঞ্চুরি করতে পারেননি৷ কিন্তু দ্বিতীয় টেস্টেই তা করলেন শুভমন গিল৷ সিডনি টেস্টে দ্বিতীয় দিনের শেষে বছর একুশের ভারতীয় ওপেনারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সুনীল গাভাস্কর৷

বিশ্বের অনত্যম সেরা ওপেনার গাভাস্করের মতে, গিল হলেন এই মুহূর্তে ভারতীয় ক্রিকেটের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় ক্রিকেটার৷ এসসিজি-তে হাফ-সেঞ্চুরি দেখতে চেয়েছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার৷ শুক্রবার সিডনি টেস্টের দ্বিতীয় দিন অজি বোলিং আক্রমণের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর প্রথম হাফ-সেঞ্চুরিটি করেন গিল৷

৩২ ওভারে ক্রিজে থেকে নতুন বলের ধার কমিয়ে হাফ-সেঞ্চুরি করেন এই পঞ্জাব তনয়৷ ১০১ বল খেলে ৮টি বাউন্ডারির সাহায্যে ৫০ রানে প্যাট কামিন্সের বলে ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন গিল৷ প্রতিশ্রুতিবান এই ক্রিকেটারের ‘Behind the line of the Ball’ ব্যাটিংয়ে মুগ্ধ গাভাস্কর দিনের শেষে সোনি নেটওয়ার্ক-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম শুভমন গিল হাফ-সেঞ্চুরিকে সেঞ্চুরিতে বদল করুক৷ তবে যে ইনিংস খেলেছে, তাতে ও ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল৷ বলের পিছন থেকে খেলছে৷ দুর্দান্ত কিছু শট রয়েছে ওর হাতে৷ এমন কিছু শট খেলেছে, যা কেবলমাত্র বলের পিছনে গিয়েই খেলা যায়৷ ওর ডিফেন্সিফ এবং অ্যাটাকিং ব্যাটিংয়ে আমি মুগ্ধ৷ সামনে ওর দারুণ কেরিয়ার রয়েছে৷’

৩১ জানুয়ারি, ২০১৯৷ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা-রেখেছিলেন পঞ্জাবের বছর কুড়ির এর তরুণ৷ বছর দু’য়েক আগে হ্যামিলটনে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে অভিষেক হয়েছিল শুভমন গিলের৷ প্রতিশ্রুতিমান হওয়ায় টেস্ট অভিষেক বিলম্বিত হয়নি পঞ্জাবের এই তরুণের৷ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২০৷ মেলবোর্নে ঐতিহাসিক বক্সিং ডে টেস্টে অভিষেক হয় বছর একুশের গিলের৷ অভিষেকেই টপ-ক্লাস অজি পেস বোলিংয়ের বিরুদ্ধে নজর কেড়েছিলেন৷ আর এদিনও দারুণ ব্যাটিং করে বিশেষজ্ঞদের হৃদয় জয় করেন ভারতীয় এই তরুণ৷

ভারতের চতুর্থ তরুণ ওপেনার হিসেবে এশিয়ার বাইরে হাফ-সেঞ্চুরি করলেন গিল৷ আগে রয়েছে রবি শাস্ত্রী, মাধব আপ্তে এবং পৃথ্বী শ৷ প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়ার ৩৩৮ রানের জবাবে গিল ও রোহিত শর্মা ওপেনিং জুটিতে ৭০ রান যোগ করে ভারতকে ভালো শুরু দেন৷ দেশের বাইরে ১৭ ইনিংস পর এটি প্রথমবার ভারতের ফিফটি-প্লাস ওপেনিং পার্টনারশিপ৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।