নন্দীগ্রাম: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে বেনজির আক্রমণ বিজপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। ‘তৃণমূল করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর’, শুক্রবার পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে দলের সভায় শাসকদলকে এভাবেই তুলোধনা করলেন দিলীপ ঘোষ। এই সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু ছাড়াও সভায় ছিলেন মুকুল রায়, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়-সহ দলের অন্য নেতারা।

বিধানসভা ভোটের আগে সরগরম বাংলা। শাসক-বিরোধী তরজা তুঙ্গে। একদিকে, ‘উন্নয়ন’-কে হাতিয়ার করে বাংলায় ক্ষমতা ধরে রাখতে তৎপর শাসকদল তৃণমূল। অন্যদিকে, তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে বাংলা দখলে মরিয়া পদ্ম শিবির।

রাজ্যজুড়ে নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছে বিজেপি। বিধানসভা ভোটের আগে দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করাই এখন গেরুয়া শিবিরের মূল লক্ষ্য। জেলায়-জেলায় ছোট-ছোট কর্মিসভা করে সেই তৎপরতাই নিচ্ছেন দলের নেতারা। অন্যদিকে, ভোট ময়দানে লড়াইয়ে বাম-কংগ্রেসও। নিজেদের মতো করে কর্মসূচি সাজিয়ে সংগঠন মজবুত করার চেষ্টায় দুই দল।

বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর এই প্রথম নন্দীগ্রামে প্রকাশ্য জনসভা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভায় হাজির হয়েই এদিন শাসকদলকে তুলোধনা করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। তিনি এদিন বলেন, ‘‘তৃণমূল করোনাভাইরাসের চেয়েও ভয়ঙ্কর। তবে ওরা কবে যাবে সেটা জানা আছে। তৃণমূলের ভ্যাকসিনও তৈরি করে ফেলেছি। ২০মে-র পরেই ওরা চলে যাবে।’’

অন্যদিকে, এদিনের সভামঞ্চ থেকে ফের নাম না করে যুব তৃণমূল সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। সম্প্রতি কয়লা পাচার কাণ্ডের তদন্তে নেমে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক বিনয় মিশ্রের নাম পেয়েছে সিবিআই।

বিনয়ের সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে বলে দাবি বিজেপির। ইতিমধ্যেই রাসবিহারী অ্যাভিনিউ এবং কালীঘাট মন্দির সংলগ্ন বিনয়ের তিনটি বাড়ি ও অফিসে সিআরপিকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই।

এরপরই খবর মেলে যে বিনয় মিশ্র পলাতক এবং তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিস জারি করা হয়েছে। এদিন এই ইস্যুতে নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনেছেন বিজেপি নেতা কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, ‘‘ভাইপোর যোগাযোগ আছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কয়লা চোর, গরু পাচারকারীরা জেলে যাবে।’’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।