তিরুবনন্তপুরম: এবার হেঁশেলে রান্না হবে ‘রকেট’ গতিতে৷ তাও একেবারে নিঃঝঞ্ঝাট৷ এর জন্য লাগবে না এপিজি৷ নেই বিদ্যুৎ-এর খরচ! ভাবতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি৷ সনাতন পদ্ধতির সঙ্গে বিজ্ঞানের মেলবন্ধনে এমনই এক স্টোভ আবিষ্কার করেছেন কেরলের থ্রিক্কাকারার বাসিন্দা আব্দুল করিম৷ রান্নার এই নতুন মাধ্যমটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘রকেট স্টোভ’৷
এই স্টোভটি শুধু নামে নয়, দেখতেও অনেকটা রকেটেরই মতো৷ এটি জ্বালাতে প্রয়োজন কাঠ, নারকেলের খোলা বা কাগজ৷ কেরলের এই ছোট্ট শহরে ‘রকেট স্টোভ’-এর জনপ্রিয়তা এখন তুঙ্গে৷ হবে নাই বা কেন? এই স্টোভ যেমন সাশ্রয়ী, তেমনই সাধারণ উনুনের চেয়ে এর ধোঁয়া ৮০ শতাংশ কম৷ ফলে অধিকাংশ মানুষই এখন ঝুঁকেছে রকেট স্টোভের দিকে৷
বলে রাখা ভাল, আব্দুল করিম এর আগেও বেশ কয়েকটি জিনিস আবিষ্কার করেছেন৷ তার মধ্যে রয়েছে স্বল্প মূল্যের মোটর পাম্প৷ এছাড়াও গত চার দশক ধরে চুল্লি, বয়লার, রান্নাঘরের বিভিন্ন সরঞ্জাম ও অন্যান্য সামগ্রী তৈরি করে চলেছেন তিনি৷ করোনাকালে দেশজুড়ে লকডাউনে সবাই যখন ঘরবন্দি, সেই সময় বাড়িতে বসে রকেট স্টোভের নকশাটি চূড়ান্ত করে ফেলেন করিম৷ ১৮৫০ সালে ব্রিটিশদের একটি ধারণা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়েই তিনি এই রকেট স্টোভটি আবিষ্কার করেন৷
করিমের কথায়, বর্জ্য কাগজ এবং অন্যান্য জ্বালানি যোগ্য শুকনো বর্জ্য রকেট স্টোভকে পরিবেশ বান্ধব করে তুলেছে৷ তদুপরি, পোড়া মাটির পাত্র সহ নানাবিধ বাসন এই স্টোভে ব্যবহার করা সম্ভব৷ যদি ঐতিহ্যবাহী রান্নার মাধ্যমগুলির সঙ্গে তুলনা করা হয়, তাহলে দেখা যাবে রকেট স্টোভ থেকে মাত্র ১০ থেকে ২০ শতাংশ ধোঁয়া নির্গত হয়৷ যা পরিবারের মা-বোনেদের কাছেও অন্যতম আকর্ষণের বিষয়৷
বর্তমানে রকেট স্টোভের পাঁচটি মডেল বাজারে রয়েছে৷ সর্বশেষ মডেলটির দাম ১৪ হাজার টাকা৷ এই মডেলেটিতে রয়েছে একটি পাইপ৷ যার সাহায্যে আপনা আপনিই ধোঁয়া বাইরে বেড়িয়ে যেতে পারে৷ ফ্ল্যাট বা অ্যাপার্টমেন্টের জন্য এই মডেলটি একেবারেই আদর্শ৷ এছাড়াও দুটি মডেলে রয়েছে যেখানে গ্রিলিং, ওভেন এমনকী জল গরম করার সুবিধাও মিলবে৷ তবে বাকি মডেলগুলির দাম আমআদমির সাধ্যের মধ্যেই৷ বেসিক স্টোভের দাম পড়বে ৪ হাজার ৫০০ টাকা৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.