স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: দেশের নিরিখে বাংলায় বেকারত্বের সংখ্যা কমেছে৷ বেকারত্ব ইস্যুতে যখন বিজেপি সহ রাজ্যের অন্য বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের সমালোচনা করছে তখন ফের এই দাবি করলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়৷
করোনা পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্বের পাশাপাশি চরম অর্থনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছে এদেশেও। এই পরিস্থিতিতেও অবশ্য বাংলাকে নিয়ে আগেই ‘পজিটিভ’ বার্তা দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ও বেকারত্ব নিয়ে এর আগে কেন্দ্রীয় সরকারকেও তোপ দেগেছিলেন তিনি। সম্প্রতি রীতিমতো তথ্য দিয়ে বাংলা ও দেশের বেকারত্ব ও কর্মসংস্থানের হারের তুলনা করেছিলেন তিনি। আ আন্তর্জাতিক যুব দিবসে ট্যুইটে তিনি লেখেন, ‘গোটা দেশে যখন বেকারত্ব কমার হার ২৪ শতাংশ, সেখানে আমাদের বাংলায় সেই হার ৪০ শতাংশ। এর অর্থই হল, পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্ব দ্রুত কমছে। অনেক আগে থেকেই বাংলার যুবক–যুবতীরা গোটা দেশকে পথ দেখিয়েছে। সেই কাজ ভবিষ্যতেও তাঁরা করে যাবে বলেই আমার বিশ্বাস।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও জানিয়েছিলেন, রাজ্যে যুব সম্প্রদায়ের কর্মসংস্থানের বিষয়ে বরাবরই উদ্যোগী হয়েছে তাঁর সরকার। রাজ্য সরকার কর্মসাথী প্রকল্প নিয়েছে যুবক-যুবতীদের জন্যে। তার জেরে অনেক ছেলেমেয়েরা ব্যবসা করে নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পেরেছেন, গড়তে পেরেছেন নিজেদের ভবিষ্যৎ। রাজ্য সরকারের কর্মসাথী প্রকল্পে বেকার যুবক-যুবতীদের ব্যবসা করার জন্যে ঋণ দেওয়া হয়।
এর আগে বাংলায় বেকারত্বের হার কমা প্রসঙ্গে সেন্টার ফর মনিটরিং ইন্ডিয়ান ইকনমি বা CMIE-র এক রিপোর্টের তথ্য পেশ করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। যেটা অনুযায়ী, করোনাভাইরাস ও লকডাউনের জেরে গোটা দেশে যখন কর্মসংস্থানের কঠিন পরিস্থিতিতে, সেই সময়ও জাতীয় গড়ের থেকে অনেকটাই সাফল্য পেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি গোটা দেশের নিরিখেই প্রকাশিত হয়েছে CMIE-র রিপোর্ট। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, চলতি বছরের জুন মাসে দেশে বেকারত্বের হার ১১%। যা মে মাসের ২৩.৫% এর থেকে কম, তবে এতে উদ্বেগ কমার কোনও পরিস্থিতি নেই। যদিও গোটা দেশের নিরিখে উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে পশ্চিমবঙ্গে বেকারত্বের হার। যা কমে দাঁড়িয়েছে ৬.৫%। সেই রিপোর্টের পরই মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইট করে লিখেছিলেন, ‘করোনাভাইরাস ও আমফানের কারণে ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলার মধ্যেও ব্যাপক অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করেছি আমরা। যার প্রমাণ মিলছে রাজ্যের বেকারত্ব হার নিয়ে CMIE-র তথ্যে।’ শুক্রবার তৃণমূল ভবনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও সেই একই কথা বিরোধীদের স্মরণ করালেন৷
বিজেপিকে আক্রমণ করে এদিন তিনি বলেছেন, রাজ্যে ধ্বংসের রাজনীতি চলছে৷ গণতন্ত্রে নয়, বাহুবলে বিশ্বাসের রাজনীতি আমদানি চলছে৷ বাংলাকে পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে৷ কেউ এসে উন্নয়নের কথা বলছেন না৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.