প্রতীতি ঘোষ, বারাসাত : অবশেষে মিলল স্বস্তি। বাংলায় আসছে করোনার ভ্যাক্সিন। শুরু হয়ে গেল উত্তর ২৪ পরগনা জেলার ৩ টি হাসপাতালে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান। শুক্রবার সকাল থেকেই হু’ র গাইড লাইন মেনে উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাত জেলা হাসপাতাল, উত্তর বারাকপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং বারাকপুর ১ নম্বর ব্লকের নানহা হাসপাতালে শুরু হয়েছে করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান পর্ব ।
এদিনের ড্রাই রান পর্বের মাধ্যমে দেখে নেওয়া হচ্ছে ভ্যাকসিন দেওয়ার আগে ও পরে সব ধরনের পরিকাঠামো সঠিক রয়েছে কি না ?
এই বিষয়ে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তাপস কর্মকার বলেন, “করোনা ভ্যাকসিনের ড্রাই রান জেলার তিনটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হু’ র সমস্ত নিয়মাবলি মেনে শুরু হয়েছে । খুব শীঘ্রই আশা করছি স্বাস্থ্য কর্মীদের প্রথম পর্যায়ে ভ্যাকসিন দেওয়ার কাজ শুরু হবে।”
অন্যদিকে আজই দেশের ৭৩৬ জেলায় শুরু হচ্ছে ড্রাই রান। কীভাবে সাধারণ মানুষকে টিকা দেওয়া হবে, তার পুরো প্রক্রিয়া কেমন ভাবে হবে, তারই প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে এদিনের ড্রাই রানে।
২ জানুয়ারি রাজ্যের তিনটি জায়গায় হয়েছে ড্রাই রান। বিধাননগর পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের দত্তাবাদ প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র, উত্তর ২৪ পরগনার আমডাঙা গ্রামীণ হাসপাতাল ও মধ্যমগ্রাম পুরসভার অন্তর্গত আরবান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার ফোরে এই ড্রাই রান চালানো হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ২৫ জন করে স্বাস্থ্যকর্মী ড্রাই রানে অংশ নেন৷
উল্লেখ্য, গুজরাত, পঞ্জাব, অসম এবং অন্ধ্রপ্রদেশে ড্রাই রান সম্পর্কিত ভালো খবর পাওয়া গিয়েছে। এরপরেই দেশজুড়ে ড্রাই রান চালানোর সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে কেন্দ্র। এখন আরও একবার, সারা দেশে ড্রাই রান চালাতে চলেছে কেন্দ্র।
ভারতে দুটি করোনা ভ্যাকসিন অনুমোদিত হয়েছে। ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কোভিশিল্ড এবং ভারত বায়োটেকের কোভাক্সিন – জরুরি ভিত্তিতে ব্যবহারের অনুমতি পেয়েছে।
টিকাকরণের কাজ চালাতে গিয়ে কোনও অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে কিনা, বা টিকাকরণের গতি বাড়াতে গেলে আরও কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন, এ সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখা হয় ড্রাই রানে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.