তিরুঅনন্তপুরম: সম্প্রতি কেরলে এমন এক পার্ক নির্মাণ করা হয়েছে যা আসলে বাড়ির মাঝের এলাকায়। এখানে গাড়ি চলাচল নিষেধ। লোকে শুধুমাত্র পায়ে হেঁটে চলাফেরা করতে পারেন। কেরলের ঐতিহ্যবাহী ঘরগুলির মধ্যে এগুলি একএকটি আধুনিক নির্মাণের বাড়ি। হঠাৎ করে এখানে এলে মনে হয় বুঝি আমরা ইউরোপীয় দেশে কোথাও এসেছি। কেরালার পর্যটনমন্ত্রী এটি উদ্বোধন করার সঙ্গে সঙ্গে এর ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।
কেরলের কোঝিকোড় জেলার ভাদাকরার কাছেই করাকাদ নামক একটি গ্রামে এই পার্ক তৈরি করা হয়েছে। এর নাম রাখা হয়েছে ভাগভাতন্ডা পার্ক। কেরলের পর্যটনমন্ত্রী কড়কমপল্লী সুরেন্দ্রন এই পার্কের উদ্বোধন করেন। এরপরেই এই পার্কের ছবিতে ভরে যায় সোশ্যাল মিডিয়া। ইউরোপীয় দেশগুলির রাস্তার সঙ্গে তুলনা করা হতে থাকে এই জায়গার।
চওড়া রাস্তা, সেরা ইউরোপীয় ডিজাইনের লাইট, আধুনিক ডিজাইনের বাড়ি, জিম, ব্যাডমিন্টন কোর্ট, শিশুদের খেলার জায়গা, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য টয়লেট, সব মিলিয়ে এগ্রাম টেক্কা দিতে পারে ইউরোপের যে কোনও শহরকে। শুধু তাই নয়, এই পার্কের রাস্তায় বসানো রয়েছে ট্যাকটিকাল টাইলস, যাতে দৃষ্টিহীনেরাও এই রাস্তা পুরোপুরি উপভোগ করতে পারেন।
পর্যটনমন্ত্রী কড়কমপল্লী সুরেন্দ্রন এই পার্কের উদ্বোধনে বলেছিলেন, এই পার্কটি গ্রামের চিত্র বদলে দেবে। স্থানীয় লোকেদের সহযোগিতা ছাড়া এই পার্ক নির্মাণের স্বপ্ন কখনও পূরণ হবে না। তিনি জানান, এই পার্ক সবার আগে এখানকার স্থানীয় লোকেদের জন্য। সারা বিশ্ব থেকে মানুষ এখানে আসবে। এটি স্থানীয় মানুষের অর্থনৈতিক-সামাজিক অবস্থারও উন্নতি করবে।
আগে এখানে একটি পার্ক ছিল তবে সেটার অবস্থা ছিল খুব খারাপ। প্রশাসন ও সরকার যখন নতুন পার্ক তৈরির পরিকল্পনা করেছিল, তখন স্থানীয় লোকেরা এতে খুব আগ্রহ নিয়ে অংশ নেন। কোনও ভাবেই পার্কের কোনও অংশের সৌন্দর্য যাতে হ্রাস না পায়, সেদিকে নজর রেখেছিল সকলে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.