কলকাতা : নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর ভাইঝি ও শরৎ চন্দ্র বসুর ছোট কন্যা চিত্রা ঘোষের প্রয়াণ। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা প্রয়াণ ঘটে তাঁর। তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
নিজের শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী মোদী চিত্রা ঘোষের আত্মার শান্তি কামনা করেন। চিত্রা ঘোষের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাতের মুহুর্তগুলো স্মরণ করেন তিনি। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা চলেছিল বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। বৃহস্পতিবারই চিত্রা ঘোষের মরদেহ নিয়ে আসা হয় উডবার্ণ পার্কের বাসভবনে।
নেতাজি সম্পর্কিত বিভিন্ন ফাইল প্রকাশের আবেদন চিত্রা ঘোষ প্রধানমন্ত্রীর কাছে করেছিলেন। এই সব নথি প্রকাশ করে সবার সামনে নিয়ে আসা হোক বলে দাবি করেছিলেন তিনি। বাবা শরৎ চন্দ্র বসুর ছায়ায় থেকে নানা সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন চিত্রা ঘোষ। পরে রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। ফরওয়ার্ড ব্লকের কেন্দ্রীয় কমিটি ও রাজ্য কমিটির সদস্যও ছিলেন।
চিত্রা ঘোষের স্বামী প্রখ্যাত স্থপতি সুবিমল ঘোষ কলকাতার প্রাক্তন শেরিফ ছিলেন। বর্তমানে তাঁর ছেলেমেয়েরা রয়েছেন। চিত্রা ঘোষ ছিলেন লেডি ব্র্যাবোর্ন কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান। এছাড়াও তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে গভীরভাবে যুক্ত ছিলেন।
তাঁর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করে বার্তা দিয়েছেন চন্দ্র কুমার বসু। সারাজীবন মানবসেবায় নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন চিত্রা ঘোষ বলে জানিয়েছেন তিনি। চন্দ্র কুমার বসু সহ নেতাজীর পরিবারের প্রায় প্রত্যেকেই নেতাজী সম্পর্কিত নথি প্রকাশের দাবি জানিয়েছিলেন।
এরআগে, কেন্দ্রীয় সরকার ২০১৭ সালের মে মাসে জানিয়ে দেয় ১৯৪৫ সালে তাইওয়ানে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছিল নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর। নেতাজি অন্তর্ধান রহস্য নিয়ে যাবতীয় বিতর্ক ও গবেষণার মধ্যেই সরকারের বক্তব্য, নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল বিমান দুর্ঘটনাতেই।
তথ্য জানার অধিকার আইনে নেতাজির মৃত্যুর কারণ জানতে চেয়ে একটি আবেদন জমা পড়েছিল ভারত সরকারের কাছে। শাহনাওয়াজ কমিটি, বিচারপতি জি ডি খোসলা কমিশন ও বিচারপতি মুখার্জি কমিশনের যাবতীয় গবেষণা ও তথ্য বিচার করে কেন্দ্র এই সিদ্ধান্তেই সিলমোহর দেয়৷
সম্প্রতি মুখার্জি কমিশনের একটি রিপোর্টে গুমনামি বাবা বা ভগবানজি নামে দু’জনের উল্লেখ পাওয়া যায়। নেতাজি বৃদ্ধ বয়সে ছদ্মবেশে থাকার একটি তত্ত্ব উঠে আসে৷ মুখার্জি কমিশনও জানিয়ে দিয়েছে, গুমনামি বাবা বা ভগবানজি সুভাষচন্দ্র বসু নন। প্রসঙ্গত ১৯৪৫ সালের ১৮ অগাস্ট বিমান দুর্ঘটনায় সত্যিই নেতাজির মৃত্যু হয়েছিল কি না, সে বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার একের পর এক তদন্ত কমিশন গঠন করলেও, এই রহস্যের সমাধান হয়নি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.