চট্টগ্রাম: বন্দরনগরীর ঐতিহাসিক ভবনটি জমি মাফিয়াদের নজরে পড়েছিল। ইতিহাস কে বাঁচাতে মরিয়া চেষ্টা কার্যকর হয়েছে। ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বারবার আইনি লড়াইয়ে জয়ী হওয়া কংগ্রেস নেতা যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের বাসভবন রক্ষা পেল।

চট্টগ্রামে যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি ভাঙার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে হাইকোর্ট। ভবনটিকে প্রত্মতাত্ত্বিক স্থাপত্য হিসেবে ঘোষণা করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে আদালত। বাড়ি ভাঙা রুখতে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আলম চৌধুরী এই রিট দায়ের করেন হাইকোর্টে।

বুধবার বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ বাড়ি ভাঙার উপর স্থগিতাদেশ দেন। চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জ এলাকার শিশুবাগ স্কুলের ভবন ভাঙা নিয়ে উত্তেজনা চলছে। এই বিদ্যালয়টি আসলে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের নেতা যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তের বাসভবন।

গত ৪ জানুয়ারি দুপুরে ভবন ভাঙাকালীন দুই পক্ষকে মুখোমুখি অবস্থান নিতে দেখা যায়। এরপরেই স্থানীয়রা বাধা দেন। যদিও ভবনের উপরের একাংশ বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়। অবিভক্ত ভারতের কংগ্রেসের নেতা যাত্রামোহন সেনগুপ্ত এই বাড়ি নির্মাণ করেছিলেন।

তাঁর পুত্র হলেন ‘দেশপ্রিয়’ যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্ত। ব্যারিস্টার যতীন্দ্রমোহনও ছিলেন সর্বভারতীয় কংগ্রেসের নেতা। তিনি কলকাতার মেয়রও হয়েছিলেন। ব্রিটিশ স্ত্রী নেলী সেনগুপ্তাকে নিয়ে কিছুদিন ভবনটিতে ছিলেন তিনি।

মহাত্মা গান্ধী, সুভাষ চন্দ্র বসু, শরৎ বসু, মহম্মদ আলি ও শওকত আলি সহ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতারা বিভিন্ন সময় এই বাড়িতে এসেছিলেন। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবীরাও এই বাড়ির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। চট্টগ্রাম যুব বিদ্রোহের বিপ্লবী সূর্য সেন, অনন্ত সিংহ, অম্বিকা চক্রবর্তীর হয়ে মামলা লড়েছিলেন যতীন্দ্রমোহন।

১৯৩৩ সালে কারাগারে মৃত্যু হয় যতীন্দ্রমোহনের। তাঁর স্ত্রী নেলী সেনগুপ্তা ১৯৭০ সাল পর্যন্ত রহমতগঞ্জের এই বাড়িতে ছিলেন। পাকিস্তান আমলে এই বাড়ি ‘শত্রু সম্পত্তি’ ঘোষিত হয়। পরে সেই বাড়িতে ‘শিশুবাগ স্কুল’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। ঐতিহাসিক ভবনের এই স্কুলটি ভাঙা নিয়েই শুরু হয় বিতর্ক।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।