কেবল কোভিড ১৯ টিকাতেই ১০০ শতাংশ সুরক্ষা ভাবলে ভুল হবে! মত বিশেষজ্ঞের
করোনা ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার শক্তি সঞ্চয়কারী টিকা ভারতে চলে এসেছে। তা প্রয়োগের আগে শুক্রবার দেশজুড়ে 'ড্রাই রান'-এর ব্যবস্থা করেছে কেন্দ্র। আর সেই টিকা নিলেই যে কোভিড ১৯ আর ধারেকাছেও ঘেঁষতে পারবে না, সেই ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দেশবাসীর কাছে আবেদন করেছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, টিকা নেওয়া মানেই করোনা ভাইরাস থেকে একশো শতাংশ সুরক্ষা নয়।

১০০ শতাংশ সুরক্ষা নয়
গোটা দেশ যখন কোভিড ১৯ টিকার 'ড্রাই রান'-এর দিকে তাকিয়ে রয়েছে, তখন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের বার্তা কড়া বলে মনে হতে পারে। তাঁদের টিকা নেওয়ার অর্থই করোনা ভাইরাস থেকে একশো শতাংশ সুরক্ষা নয় বক্তব্য ঘুম উড়ছে দেশের নাগরিকদের। তবে একটু সাবধান হলে বিপদ এড়ানো সম্ভব বলেও জানিয়েছেন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

আরও সাত মাস মুখে মাস্ক
মুম্বইয়ের হিন্দুজা হাসপাতালের ক্রিটিক্যাল কেয়ার হেড ডাক্তার ভারেশ দেধিয়ার কথা, টিকার প্রয়োগ করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের গতি কিছুটা কমাবে ঠিকই, তবে বিপদের আশঙ্কা রয়েই যাবে। দেশকে পুরোপুরি কোভিড-মুক্ত হতে আরও অন্তত সাত মাস সময় লাগবে বলে মনে করেন ওই ডাক্তার। ফলে এখনই মুখ থেকে মাস্ক খুলে ফেলা বোকামি করা হবে বলেও মনে করেন ডাক্তার ভারেশ দেধিয়ার। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচতে ফেস মাস্ক অত্যাবশ্যক বলে জানিয়েছেন যশলোক হাসপাতালের ডাক্তার মালা ভি কানেরিয়া।

টিকা নিয়ে কী মত বিশেষজ্ঞদের
টিকা নিয়ে দেশব্যাপী যতই হইচই হোক, তার প্রভাব ১০০ শতাংশ নয় বলে দাবি করেছেন দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁদের বক্তব্য, অক্সফোর্ড টিকার দুটি সাধারণ ডোজে ৭০ শতাংশ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। কোভ্যাক্সিনের সেই ক্ষমতাও রয়েছে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

টিকার ড্রাই রান
প্রথম ধাপে ভারতে চলে এসেছে করোনা ভাইরাসের টিকা। প্রয়োগের আগে শুক্রবার থেকে দেশের ৭০০ জেলায় তার ড্রাই রান বা মহড়া করা হবে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে সবকটি রাজ্য।
রাজনীতিতে আপাতত ইতি, বিজেপিতে যোগ দানের জল্পনা উড়িয়ে সাংবাদিক বৈঠকে কী বললেন লক্ষ্মী