'এইচসিকিউ' মডেলে বন্ধু দেশগুলিতে আগে টিকার জোগান, জানিয়ে দিল মোদীর ভারত
এইচসিকিউ বা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন মেডেলে বন্ধু দেশগুলিকে কোভিড ১৯ টিকার জোগান দিতে প্রস্তুত রয়েছে ভারত। আর্থিক লাভ রেখেই মানবিকতার স্বার্থে প্রতিবেশী দেশগুলিকে কোভ্যাক্সিন সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই মতো প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ আবহে কেবল সহায়তা হিসেবেই বন্ধু তথা প্রতিবেশী দেশগুলিতে এইচসিকিউ বা হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সরবরাহ করেছিল ভারত। আরও ৮২টি দেশকে একই ওষুধ বিক্রি করেছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার। কোভিড ১৯ টিকার ক্ষেত্রেও ভারত একই ফর্মুলা মেনে এগোতে চাইছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে।

কোভিড ১৯-এর সঙ্গে লড়াইয়ের রসদ হিসেবে প্রতিবেশী তথা বন্ধু দেশ নেপালকে ১২ মিলিয়ন তথা ১.২ কোটি টিকা সরবরাহ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। আগামী সপ্তাহে নেপালের বিদেশ মন্ত্রী প্রদীপ গাওয়ালি দিল্লি সফরে এলে, তাঁর হাতে এই টিকা তুলে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশকে তিন কোটি কোভিড ১৯ টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকার। সেই মতো সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার তৈরি অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকা শেখ হাসিনার দেশে পাঠাবে ভারত। আগামী ফেব্রুয়ারি থেকে ঢাকায় কোভিড ১৯ টিকার সরবরাহ শুরু হবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে মায়ানমার, ব্রাজিলেও ভারতে তৈরি কোভিড ১৯ টিকা পৌঁছে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। চিনা টিকা পাওয়া নিয়ে জটিলতার মধ্যে ভারত প্রতিবেশী ও বন্ধু দেশগুলিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে কূটনৈতিক ভাবে বেজিং-কেই যে টেক্কা দিতে চাইছে, তা প্রায় স্পষ্ট।