আইএসএল ২০২০-২১ : দিয়েগো অস্ত্রে ছিন্নভিন্ন কেরালা ব্লাস্টার্স, ৪-২ গোলে জয় ওড়িশা এফসি-র
দিয়েগো মাউরিসিও ঝড়ে কুপোকাত হল কেরালা ব্লাস্টার্স। আইএসএলের অতি গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কিবু ভিকুনার দল ৪-২ গোলে হারিয়ে মরসুমের প্রথম জয় পেল ওড়িশা এফসি। জিতেও ৯ ম্যাচ খেলে ৫ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার সর্বশেষ অর্থাৎ একাদশ স্থানেই দাঁড়িয়ে রইলেন স্টিভেন টেলররা। হেরেও ৯ ম্যাচ খেলে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আইএসএল তালিকার দশম স্থান ধরে রাখতে পারল কেরালা ব্লাস্টার্স।


শুরু থেকে ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। লাগাতার আক্রমণ ও প্রতি-আক্রমণে উঠতে থাকে দুই দল। প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যেই আক্রমণের ঝড় ওঠে। সাত মিনিটের মাথায় জর্ডন মারের সুযোগ সন্ধানী গোলে এগিয়ে যায় কেরালা ব্লাস্টার্স। ২২ মিনিটে জ্যাকসন সিংয়ের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে ফেরে ওড়িশা এফসি। ৪২ মিনিটে জেরির দুর্দান্ত ফ্রি কিক থেকে গোল দিয়ে ওড়িশাকে এগিয়ে দেন অধিনায়ক স্টিভেন টেলর। ২-১ গোলের ব্যবধানে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধে মাঠ ছাড়ে ওড়িশা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে ঝাঁপায় ওড়িশা এফসি। কেরালা ব্লাস্টার্সের গোলমুথে একের পর এক আক্রমণ তুলে আনতে থাকেন জেরিরা। ম্যাচের ৫০ মিনিটে গোল দিয়ে ওড়িশা এফসি-র হয়ে ব্যবধান বাড়ান দিয়েগো মাউরিসিও। এরপরই খেলা থেকে হারিয়ে যেতে থাকে কেরালা। সেই সুযোগে ৬০ মিনিটে আরও একটি গোল দেন দিয়েগো। বিশ্বমানের ওই গোল দেখে মুগ্ধ হন ফুটবল প্রেমীরা।
অন্যদিকে পিছিয়ে পড়া কেরালা ব্লাস্টার্স আচমকাই খেলায় গতি বাড়িয়ে ফেলে। ৭৯ মিনিটে দুর্দান্ত একটি সাঁড়াশি আক্রমণে নিজের প্রথম এবং কিবু ভিকুনার দলের হয়ে দ্বিতীয় গোল দেন হুপার। ম্যাচের শেষ দশ মিনিটে চেষ্টা করেও আর ব্যবধান কমাতে পারেনি কেরল।
ম্যাচে ৫১ শতাংশ বলের দখল নিজেদের কাছে রাখে জয়ী দল। ৪৯ শতাংশ বলের নিয়ন্ত্রণ থাকে কেরালা ব্লাস্টার্সের পায়ে। ম্যাচে ১৮টি শট নেয় ওড়িশা এফসি। ১৬টি শট নেয় কেরালা ব্লাস্টার্স। পাঁচটি কর্নার পায় জয়ী দল। পরাজিত দলের ভাগ্যে জোটে ৬টি কর্নার।