স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: ২০১১ সালে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বৃদ্ধি পেয়েছ। বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিক বৈঠকে এই দাবি করলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও তৃণমূলের রাজ্য মহিলা সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷
নরেন্দ্র মোদীর প্রকল্প মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চালু করতে দেন না, তা নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিল। একুশের নির্বাচনের আগে ‘রণেভঙ্গ’ দিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যে ‘কিষাণ সম্মান নিধি’ চালু করার অনুমতি দিয়েছেন৷ মমতা জানিয়েছেন, বাংলার কৃষক-স্বার্থেই তিনি এই প্রকল্প চালুর অনুমতি দিচ্ছেন। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমারের সঙ্গে চিঠি চালাচালির পর দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
তারপরই মমতা জানান, আমার কাছে কৃষকরা সবার আগে। তাই কেন্দ্রের কাছে বাংলা যতই অচ্ছ্যুৎ থাক, কৃষকদের স্বার্থের কথা ভেবে আমরা বলেছি তথ্য পাঠিয়ে দিতে, আমরা ভেরিফাই করে দেব। আমি চাই না কৃষকদের নিয়ে কোনও রাজনীতি হোক। তাই আমাদের কৃষক বন্ধু প্রকল্পের সুবিধা রাজ্যের সমস্ত কৃষকরা পেলেও বাড়তি হিসেবে কেউ কেন্দ্রেরটা পেলে আমার কোনও আপত্তি নেই। মুখ্যমন্ত্রীর ‘দেরিতে বোধদয়’কে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি৷ বৃহস্পতিবার এপ্রসঙ্গে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “১৪ হাজার টাকা করে ৭৩ লক্ষ কৃষক পরিবারের ক্ষতি হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে সেটা ফেরত দিতে হবে।”
বিজেপির কটাক্ষের জবাব দিয়ে এদিন চন্দ্রিমা বলেছেন, ”অন্য রাজ্যে শস্যবিমার প্রিমিয়াম দিতে হয় কৃষকদের। কিন্তু বাংলার সরকার এই প্রিমিয়াম দেয়।” তিনি আরও বলেন, ”কেন্দ্রীয় সরকার বলছে, ২০২২-এর মধ্যে কৃষকদেরর উপার্জন দ্বিগুণ হবে। কিন্তু হিসেব বলছে, ২০২৮-এর আগে কখনওই কৃষকদের উপার্জন দ্বিগুণ হবে না। এদিকে বাংলার কৃষকদের উপার্জন তিন গুণ বেড়েছে তৃণমূল আসার পর। ২০১১ সালে রাজ্যের কৃষকদের গড় আয় ছিল ৯০ হাজার। সেটা এখন ২ লাখ ৯০ হাজার হয়েছে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী কৃষক বন্ধু স্কিম চালু করেছেন। সেখানে শুধু প্রান্তিক বা ছোট চাষি নয়, সবাইকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। একর প্রতি কৃষকদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। ১৮ বছরের থেকে ৬০ বছরের মধ্যে কোনও কৃষক মারা গেলে ২ লাখ টাকা দেওয়া হয়। এটাই আমাদের কৃষক বন্ধু স্কিম। এমন সুবিধা কেন্দ্রীয় সরকারও দেয় না।”
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.