কলকাতা: দীর্ঘদিন ধরে এ রাজ্যে বহু অবাঙালি শিল্পপতি রয়েছেন। তারা সেভাবে বাংলায় কথা না বললেও তাদেরকে আদৌ বহিরাগত মনে করেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি রাজ্যের বাইরে থেকে যেভাবে বিজেপি আরএসএস নেতারা এখানে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে তাদেরই তিনি বহিরাগত আখ্যা দিচ্ছেন। তাদের সঙ্গে এনাদের তিনি মেলাতে চান না।
সম্প্রতি এই বহিরাগত শব্দটি নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে।বিশেষত নাড্ডার সফরের পর এই বহিরাগত শব্দটি নিয়ে আলোচনা একেবারে তুঙ্গে।এ রাজ্যের শিল্পপতিদের অনেকেই মূলত অন্য রাজ্যের বাসিন্দা এবং অনেকেই বাংলা ভাষায় কথা বলেন না। ফলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের বহিরাগত আখ্যা দিতে চাইলেও বহিরাগত শব্দটি নিয়ে ভুল বার্তা যাচ্ছিল এইসব শিল্পপতিদের কাছেও। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনাদের সঙ্গে আলোচনা বসে বিষয়টির ব্যাখ্যা দিয়ে ভুল বোঝাবুঝির অবসান চাইলেন।
সম্প্রতি নবান্নে শিল্পমহলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই বৈঠকে ভালোমতোই উপস্থিতি লক্ষ্য করা গিয়েছে শিল্পমহলের প্রতিনিধিদের। তাদের সঙ্গে আলোচনায় বহিরাগত প্রসঙ্গ ওঠে এবং তিনি এর ব্যাখ্যা দেন। তিনি বার্তা দেন, তাঁর কথার মানে বদলে বিভাজনের নীতি কাজে লাগাতে চেষ্টা করছেন কেউ কেউ। বদলে ওই বিভাজনের ফাঁদে পা না দিয়ে রাজ্যেকে শিল্পক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাবার আহ্বান জানান তিনি। অন্যদিকে তাঁর অবস্থান বোঝাতে বিজেপি নেতারা কেমন করে এরাজ্যের সংস্কৃতি ঐতিহ্যকে আঘাত করছে সেটাও ব্যক্ত করেন।
করোনা পরিস্থিতির জন্য বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন এবার করা সম্ভব হয়নি। তাছাড়া পুজোর পর শিল্পপতিদের নিয়ে যে বিজয়া সম্মেলনে করা হয় সেটাও করা যায়নি। সেইসব কারণেই নবান্নে শিল্পমহলের প্রতিনিধিদের বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি রাজ্যের শিল্প পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা করেন। এ রাজ্য শিল্প পরিবেশ ভালো বলে দাবি করেছেন। আশ্বাস দেন মার্চের মধ্যে অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে এবং গ্রামাঞ্চলেও ফায়ার লাইসেন্স ইত্যাদি পেতে অসুবিধা হবে না।
অন্যদিকে শিল্পমহলের প্রতিনিধিরাও মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকার প্রশংসা করেন। বিশেষত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে গত ১০ বছর ধরে কর্ম দিবস নষ্ট না হওয়ায় জন্য তারা খুশি বলে জানিয়েছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.