সিডনি: সিরিজের তৃতীয় টেস্ট ম্যাচের প্রথম বল গড়ানোর আগে বিরল ঘটনার সাক্ষী রইল আইকনিক সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড। ম্যাচ শুরুর আগে বৃহস্পতিবার জাতীয় সঙ্গীতের সময় কেঁদে ফেললেন টিম ইন্ডিয়ার ফাস্ট বোলার মহম্মদ সিরাজ। ভারতীয় পেসারের আবেগঘন হওয়ার সেই মুহূর্তবন্দি হয় ক্যামেরায়। জাতীয় সঙ্গীত শেষ হতেই চোখ মুছতে দেখা যায় হায়দরাবাদের ক্রিকেটারকে। পাশে দাঁড়ানো সতীর্থ পেসার জসপ্রীত বুমরাহ বিষয়টি খেয়াল করে হেসে সিরাজের পিঠ চাপড়ে দেন।

কিন্তু জাতীয় সঙ্গীতের সময় সিরাজের কেঁদে ফেলার কারণ কী? প্রথমদিনের খেলা শেষে সেই প্রশ্নের উত্তর দেন সিরাজ নিজেই। তিনি জানান, জাতীয় সঙ্গীতের সময় তাঁর সদ্য প্রয়াত বাবার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। আর সে কারণেই কেঁদে ফেলেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া সফরে দলের সঙ্গে এসে বাবার মৃত্যু সংবাদ পেয়েছিলেন সিরাজ। কিন্তু বাবার স্বপ্নপূরণের জন্যই শেষকৃত্যের জন্য দেশে ফিরে না গিয়ে দলের সঙ্গেই থেকে গিয়েছিলেন সিরাজ।

ম্যাচ শেষে সিরাজ বলেন, তাঁর বাবা তাঁকে আজ দেশের হয়ে টেস্ট ম্যাচ খেলতে দেখলে কতোটা খুশি হতেন ভেবেই চোখে জল চলে এসেছিল। এই আবেগঘন মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। অনুরাগীদের সমর্থন জোগাড় করে নেন সিরাজ। জাতীয় সঙ্গীতের সময় ভারতীয় পেসারের চোখে জল হৃদয় জিতে নেয় মহম্মদ কাইফ, ওয়াসিম জাফরের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারদের।

কাইফ সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, ‘আমি এই ছবিটা মুষ্টিমেয় কিছু মানুষের সামনে তুলে ধরতে চাই। তাদের বলতে চাই ছেলেটার নাম মহম্মদ সিরাজ আর এটাই তাঁর কাছে জাতীয় সঙ্গীতের অর্থ।’ জাফর লেখেন, ”মাঠে যদি কোনও দর্শক নাও থাকে তবু দেশের হয়ে খেলা সবসময় একটা বাড়তি মোটিভেশন। একজন মহান ব্যক্তি কোনও একসময় বলেছিলেন, ‘দর্শকের জন্য নয় দেশের জন্য খেলো,”

উল্লেখ্য, মেলবোর্নে বক্সিং-ডে টেস্ট ম্যাচে টেস্ট কেরিয়ারে অভিষেক হয়েছিল মহম্মদ সিরাজের। অভিষেক টেস্টে পাঁচ উইকেট সংগ্রহ করে বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হয়েছিলেন তিনি। সিডনিতে বৃহস্পতিবার তৃতীয় টেস্টের প্রথমদিন ডেভিড ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে অজি শিবিরে প্রথম ধাক্কাটাও সিরাজই দিয়েছিলেন। যদিও বৃষ্টিবিঘ্নিত প্রথমদিনের শেষে ২ উইকেটে ১৬৬ রান তুলে ভালো জায়গায় অজিরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।