শ্রীনগর: ভয়াবহ বরফপাত। কাশ্মীর উপত্যকা জুড়ে তুষারপাতেই ঘটেছে বিপত্তি। আর সেখানে এক মহিলাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এল ভারতীয় সেনা।

ইতিমধ্যেই ওই এলাকার একাধিক রাস্তাঘাট বন্ধ হয়ে রয়েছে। অবরুদ্ধ অবস্থায় ঘরবন্দি সাধারণ মানুষ। জম্মু ও কাশ্মীরের বহু এলাকাতেই এখন এমন অবস্থা শীতে।

এই পরিস্থিতিতে ভয়ঙ্কর বিপদে পড়েন মহম্মদ মীর। উত্তর কাশ্মীরের কূপওয়াড়া জেলার বাসিন্দা মীরের মেয়ে প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন। হাসপাতাল পর্যন্ত যেতেই যথেষ্ট কষ্ট করতে হত।

সেইসময় এগিয়ে আসে ভারতীয় সেনা। একহাঁটু বরফের মধ্যে দিয়ে সেই মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হল ওই মহিলাকে। মীরের বাড়িতে পৌঁছে, তাঁর মেয়েকে স্ট্রেচারে তুলে, বরফে ডুবে থাকা রাস্তাতেই প্রায় এক কিলোমিটার দূরের প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে পৌঁছে দিলেন সেনা কর্মীরা।

বুধবারের এই ঘটনায় হাসপাতালে সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছেন ওই মহিলা। তিনি ও তাঁর সদ্যোজাত সন্তান দু’জনেই ভাল আছে। স্বাভাবিক ভাবেই মহম্মদ মীর ও তাঁর পরিবারের কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা নেই ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে।

বুধবার মেয়ে যখন ছটফট করছে ব্যথায়, অসহায় হয়ে সেনাকে ফোন করে পরিস্থিতির কথা জানান মীর। খবর পেয়েই এলাকায় টহলরত জওয়ানরা দ্রুত পৌঁছে যান তাঁর বাড়িতে। একটুও দেরি না করে, তাঁরা নিজেরাই সকলে মিলে স্ট্রেচারে তুলে পিঠে বয়ে নিয়ে যান মহিলাকে। একটি গাড়ির ব্যবস্থা করে মহিলাকে তাতে তোলেন প্রথমে। কিন্তু গাড়িটিও কিছুদূর এগিয়ে বরফে আটকে যায়। সেখান থেকে স্বাস্থ্য কেন্দ্র আরও এক কিলোমিটার দূর।

বরফ ভেঙে তাঁকে পৌঁছে দেন সেনারাই। গত কয়েকদিন ধরেই একটানা তুষারপাতে বিধ্বস্ত কাশ্মীর। রাস্তা পরিষ্কার করার সরঞ্জামও পৌঁছনো মুশকিল হয়ে পড়ছে। এমনটা অবশ্য এই প্রথম নয়, প্রতি বছরই হয়। আর প্রতিবছরই নানা প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বহু অসুস্থ মানুষকে সাহায্য করেছেন সেনা জওয়ানরা।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দেশি ব্র্যান্ডগুলি কতটা সমস্যার মধ্যে রয়েছে , তারাও কী ভাবছেন আগামী নিয়ে? জানাবেন ডঃ মহুল ব্রহ্ম।