সিডনি: বৃহস্পতিবার এসসিজি-তে ভারত-অস্ট্রেলিয়া ইতিহাস গড়লেন ক্লেয়ার পোলোসক৷ পুরুষদের টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম মহিলা আম্পায়ারের নজির গড়েন তিনি৷ এর আগে পুরুষদের ওয়ান ডে ম্যাচে প্রথম আম্পায়ারিংয়ের নজির রয়ছে তাঁর৷ কিন্তু এদিন টেস্টে সেই নজির গড়লেন ক্লেয়ার৷
বৃহস্পতিবার থেকে এসসিজি-তে শুরু হয়েছে বর্ডার-গাভাস্কর ট্রফির তৃতীয় টেস্ট৷ এই টেস্টের ফোর্থ আম্পায়ারের দায়িত্বে রয়েছেন পোলোসক৷ ভারত-অস্ট্রেলিয়ার সিডনি টেস্টে দুই ফিল্ড আম্পায়ার হলেন পল রাইফেল ও পল উইলসন৷ থার্ড আম্পায়ারের দায়িত্বে রয়েছেন ব্রুস অক্সেনফোর্ড৷ ম্যাচ রেফারির ভূমিকায় পালন করছেন ডেভিড বুন৷
আম্পায়ারিংয়ে ক্রমশ উন্নতি করার পুরস্কার পেলেন পোলোসক৷ ৩২ বছর বছর বয়সি ২০১৭ সালে প্রথম মহিলা হিসেবে পুরুষদের ঘরোয়া ওয়ান ডে ম্যাচে আম্পায়ারিং করেছিলেন৷ ২০১৯ সালে প্রথম প্রথম মহিলা আম্পায়ার হিসেবে নামিবিয়া ও ওমানের মধ্যে আন্তর্জাতিক ওয়ান ডে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছিলেন৷
টেস্টে আইসিসি-র নিয়ম অনুযায়ী, রিজার্ভ অর্থাৎ ফোর্থ আম্পায়ার নিয়োগ করে থাকে আয়োজককারী ক্রিকেট বোর্ড। সিরিজ এবার অস্ট্রেলিয়ায় হওয়ায় পোলোসককে সুযোগ দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। আইসিসি-র আম্পায়ার প্যানেলে মনোনীত ব্যক্তিদের মধ্য থেকে বাছাই করে পোলোসককে ফোর্থ আম্পায়ারের দায়িত্ব দেয় সিএ।
নিউ সাউথ ওয়েলসের বাসিন্দা পোলোসক অস্ট্রেলিয়ায় ঘরোয়া ক্রিকেটে ছেলেদের লিস্ট ‘এ’ ম্যাচেও প্রথম মহিলা ম্যাচ অফিসিয়াল ছিলেন। আর সিডনিতে ভারত-অস্ট্রেলিয় টেস্টে পোলোসককে রিজার্ভ আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন। নতুন বল নিয়ে মাঠে নামা, মাঠের আম্পায়ারদের পানীয় সরবরাহের দায়িত্ব তাঁর। এছাড়া নতুন বেলস দেওয়া, আলোর মিটারের ব্যাটারি পরীক্ষা করা, মধ্যাহ্নভোজ ও চা-বিরতির সময় পিচ পাহারার দায়িত্ব থাকে রিজার্ভ আম্পায়ারের।
তবে ফোর্থ অর্থাৎ রিজার্ভ আম্পায়ার রাখা হয় মুলত ফিল্ড আম্পায়ার কোনও কারণে ম্যাচ পরিচালনা করতে না-পারলে তখন তৃতীয় আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন রিজার্ভ আম্পায়ার। তৃতীয় আম্পায়ার তখন ফিল্ড আম্পায়ারের ভূমিকা নেন৷
এদিন অস্ট্রেলিয়া ইনিংসে অষ্টম ওভারে বৃষ্টিতে ম্যাচ বন্ধ থাকার সময় ছাতা মাথায় গ্রাউন্ড স্টাফেদের সঙ্গে মাঠে নামতে দেখা গিয়েছে পোলোসককে৷ ২০১৮ মেয়েদের টি-২০ বিশ্বকাপে আম্পায়ারের ভূমিকায় ছিলেন পোলোসক। মেয়েদের বিগ ব্যাশ লিগেও আম্পায়ারিং করে ইতিহাস গড়েছেন তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.