ভারী তুষারপাত উপত্যকায়, বরফ পেরিয়ে অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে হাসপাতালে পৌঁছে দিলেন সেনা
এমনিতেই ভারী তুষারপাতে জনজীবন প্রায় ব্যাহত জম্মু–কাশ্মীরের। তার ওপর ঠাণ্ডায় কাবু উপত্যকার বাসিন্দারা। ৫ জানুয়ারি এরকমই এক বরফ ঠাণ্ডার মধ্যরাতে কাশ্মীরের কুপওয়ারার করালপুরা সেনাদের কাছে এক ব্যক্তির ফোন আসে, যাঁর স্ত্রীয়ের প্রসব যন্ত্রণা উঠেছে এবং ভারী তুষারপাতের কারণে তিনি তাঁর স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে পারছেন না।

গত শনিবার মরশুমের প্রথম তুষারপাতের সাক্ষী থাকলেন কাশ্মীর ভ্যালির সমতলের বাসিন্দারা, অন্যদিকে উপত্যকার উঁচু এলাকায় ভারী তুষারপাত হয়েছে। কাশ্মীরের ফরকিয়ান গ্রামের বাসিন্দা আহমেদ শেখ সেনাদের জানান যে তিনি কমিউনিটি স্বাস্থ্য পরিষেবার যান বা স্থানীয় কোনও পরিবহনের ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। সেনারা পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পারেন এবং সঙ্গে সঙ্গে আহমেদ শেখের বাড়ি পৌঁছান। সঙ্গে ছিলেন স্বাস্থ্য কর্মীরাও। তাঁরা ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলা ও তাঁর পরিবারকে নিরাপদে হাঁটু সমান বরফের ২ কিমি রাস্তা অতিক্রম করে পৌঁছে দেন। পরিস্কার রাস্তায় এসে মহিলাকে তৎক্ষণাত নিয়ে যাওয়া হয় করালপুরা হাসপাতালে, যেখানে আগে থেকেই স্বাস্থ্যকর্মীদের পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত করে রাখা হয়েছিল।
কিছুক্ষণের মধ্যেই ওই মহিলা ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পক্ষ থেকে সেনা জওয়ানদের এই ভিডিও, যেখানে স্ট্রেচারে করে মহিলাকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা টুইটারে শেয়ার করা হয়।
রিপোর্ট অনুযায়ী, কাশ্মীরের এই ভারী তুষারপাতের ফলে সিআরপিএফের এক সাব–ইনস্পেক্টর ও এক মহিলা নিহত হয়েছেন। গোটা রাজ্যে এই ক্রমাগত তুষারপাতের ফলে ১০০টি কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তু্ষারপাতের জেরে একটি বাড়ি ভেঙে পড়ার ঘটনাও ক্যামেরাবন্দি হয়েছে। একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে উত্তর কাশ্মীরেও, যেখানে সেনার 'খৈরিয়ত’ দল গ্রাম থেকে এক অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে উদ্ধার করেন এবং তাঁকে কোমর সমান বরফ পেরিয়ে স্ট্রেচারে করে হাসপাতালে পৌঁছে দেন। ওই মহিলাও স্বাস্থ্যবান শিশুর জন্ম দিয়েছেন।
পাহাড়ে ফের তাল কাটছে তৃণমূলের, গুরুং ফিরতেই জেগে উঠেছে গোর্খাল্যান্ডের দাবি, মোদীকে চিঠি বিনয়ের