কলকাতা্: প্রিয় খেলোয়াড়ের ছাড়া পাওয়ার খবরে বুধবার হাসপাতালের গেটের সামনে হাজির হয়েছিলেন সৌরভ ভক্তরা৷ কিন্তু সেদিন ছুটি না-হওয়ায় হতাশ হয়েছিলেন তাঁরা৷ তবে বৃহস্পতিবারও হাজির ছিলেন সৌরভের বেশ কিছু ফ্যান৷ তাঁদের উদ্যেশে হাত নাড়িয়ে সকল চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়ে হাসপাতাল ছাড়েন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়৷

প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক তথা ভারতীয় ক্রিকেট আইকন সৌরভ নতুন জীবন ফিরে পেলে চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি দ্রুত স্বাভাবিক কাজকর্মে ফেরার আশা প্রকাশ করেন৷ হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে নিজের চেরি রঙের বিএমডব্লিউ-তে ওঠার আগে সৌরভ বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছি৷ মনে হচ্ছে নতুন জীবন পেলাম৷ চিকিৎসকদের অসংখ্য ধন্যবাদ৷ এই ক’দিন ধরে ওনারা আমার চিকিৎকা ও যত্ন নিয়েছেন৷ আশা করি আমি দ্রুত কাজে ফিরতে পারব৷’

সৌরভকে এদিন হাসপাতাল থেকে আনতে গিয়েছিলেন স্ত্রী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়৷ তাঁর সঙ্গে নিজের গাড়িতে করে বেহালার বীরেন রায় রোডের বাড়িতে ফেরেন মহারাজ৷ দ্রুত বাড়ি ফেরার জন্য সৌরভের গাড়ির আগে ছিল কলকাতা পুলিশের পাইল্ট কার৷ তাঁর বাড়ির সামনেও অপেক্ষা করছিলেন বেশি কয়েকজন ভক্ত৷ তাঁদের উদ্যেশে হাত নাড়িয়ে বাড়িতে ঢুকে যান সৌরভ৷

সৌরভের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে এসে সবকিছু বুছিয়ে দিয়ে যান উডল্যান্ডস হাসপাতালের মেডিক্যাল সুপারেনটেন্ডেন সপ্তর্ষি বসু৷ সৌরভের চিকিৎসারত মেডিক্যাল বোর্ডের অন্যতম সদস্য হলেন তিনি৷ আগামী দু’ সপ্তাহ বাড়িতে বিশ্রামে থাকবেন তিনি৷ বাড়িতে মনিটরিং টিম সৌরভকে মনিটর করবে৷ জরুরি প্রয়োজন হলে, সেই কারণে এদিন সৌরভের বাড়িতে অত্যাধুনিক অক্সিজেন সিলিন্ডার পাঠানো হয় হাসপাতালের তরফে৷ সপ্তাহ দু’য়েক বাড়িতে বিশ্রামে থাকার পর ফের চেক-আপের জন্য হাসপাতালে যেতে হবে সৌরভকে৷ তারপরই আরও দু’টি স্টেন্ট বসানো নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন চিকিৎসকরা৷

শনিবার অর্থাৎ নতুন বছরের দ্বিতীয় দিনেই অসুস্থ হয়ে দক্ষিণ কলকাতার উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন সৌরভ৷ প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের চিকিৎসার জন্য দ্রুত মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করা হয়৷ মঙ্গলবার সকালে বেঙ্গালুরু থেকে বিশেষ বিমানে কলকাতায় এসে উডল্যান্ডসে প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের মেডিক্যাল রিপোর্ট খতিয়ে দেখেন বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠি৷ তারপর তিনি কথা বলেন সৌরভের চিকিৎসার জন্য গঠিত ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে৷ প্রাক্তন ভারত অধিনায়কের চিকিৎসায় সন্তোষ প্রকাশ করেন দেশের অন্যতম সেরা এই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ৷ সুস্থ হয়ে সৌরভের স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও জানান তিনি৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।