ডিম–মাংস ভালোভাবে রান্না করে খান, বার্ড ফ্লু নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর
করোনা ভাইরাস, বিলেতি কোভিড–১৯–এর জেরে ওষ্ঠাগত দেশবাসীর প্রাণ। এরই মধ্যে নতুন বছরের শুরুতেই নয়া আতঙ্ক গ্রাস করল। ভারতের পাঁচটি রাজ্যে দেখা দিয়েছে বার্ড ফ্লু। শয়ে শয়ে কাক, পরিযায়ী পাখি, হাঁস–মুরগির মৃত্যুতে এই আতঙ্ক যেন দেশের ঘুম উড়িয়ে দিচ্ছে। অনেক রাজ্যই মাংস ও ডিমের বেচাকেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে এই ফ্লু নিয়ে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই, এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় পশুপালন, মৎস ও দুগ্ধ মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। তিনি জানিয়েছেন, মাংস বা ডিম রান্না করার কিছু টিপস মেনে চললেই এই এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা বা বার্ড ফ্লু থেকে নিষ্কৃতি পাওয়া যাবে।

ডিম মাংস ভালোভাবে রান্না করতে হবে
পোলট্রি থেকে মানুষের মধ্যে এই জুনোটিক সংক্রমণ সম্পর্কে ভয় দূর করার জন্য মন্ত্রী জানান যে ডিম ও মাংস ভালোভাবে রান্না করুন, যাতে তা কোনওভাবে আধসেদ্ধ না থাকে। মন্ত্রী টুইট করে হিন্দিতে বলেন, ‘কিছু কিছু জায়গা থেকে রিপোর্ট এসেছে পরিযায়ী পাখি ও বন্য পাখিদের বার্ড ফ্লুয়ে মৃত্যু। খাওয়ার আগে ডিম ও মাংস ভালো করে রান্না করুন। চিন্তার কোনও কারণ নেই। সম্ভাব্য সব সহায়তা করা হচ্ছে এবং রাজ্যগুলিকেও সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।' হিমাচল প্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কেরল এবং রাজস্থানের বার্ড ফ্লুয়ের ১২টি উৎসকেন্দ্রের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। যার রিপোর্ট শেয়ার করেন গিরিরাজ সিং।

১০দিনে লক্ষাধিক পাখির মৃত্যু
গত ১০দিনে লক্ষাধিক পাখি, অধিকাংশ পরিযায়ী, মৃত্যু হয়েছে ভারতে। কিছু আক্রান্ত রাজ্য পাখিদের কালিং করা শুরু করেছে, পোলট্রি ও সেই সংক্রান্ত পণ্যের বেচাকেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে, আন্তঃ-রাজ্য চলাচলের ওপর প্রতিবেশী রাজ্য বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির ওপর নজরদারি চলছে। এই সংক্রমণকে ঠেকাতে কেন্দ্র সরকার উপদেষ্টা জারি করেছে ও দিল্লিতে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে, যাতে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা যায়।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে রাজ্যগুলিকে উপদেশ
উপদেষ্টায় ক্ষতিগ্রস্থ রাজ্যগুলিকে বন বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের পাশাপাশি ‘পোলট্রি ফার্মের বায়োসিকিউরিটি উন্নত করতে, ক্ষতিগ্রস্থ অঞ্চলগুলিকে জীবাণুমুক্ত করা, মরা পাখিগুলিকে সঠিকভাবে নিষ্পত্তি করা, নজরদারি বাড়ানো' উন্নত করতে বলা হয়েছে। প্রতিবেশী রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে যে পাখিদের মধ্যে অস্বাভাবিক মৃত্যু দেখলে তা যেন সঙ্গে সঙ্গে রিপোর্ট করা হয় এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে বলা হয়েছে।

২০০৬ সাল থেকে বার্ড ফ্লুয়ের প্রকোপ
ব্যক্তিগত সুরক্ষার মধ্যে প্রোটেকটিভ গিয়ার পরা, বিভিন্ন জায়গা জীবাণুমুক্ত করা, বিশেষ করে খামারগুলি এবং অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ খাওয়া জরুরি। ২০০৬ সাল থেকে ভারত বেশ কয়েকবার বার্ড ফ্লুয়ের মুখোমুখি হয়েছে। প্রত্যেকবারই পোলট্রির কৃষকরাই সর্বাধিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। কারণ ডিম ও মাংস বিক্রির ওপরই এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে মাংস যদি ভালোভাবে রান্না করা না হয় একমাত্র তবেই এই ফ্লু পাখি থেকে মানুষের মধ্যে সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
কোনও 'পর্যবেক্ষক' নিয়োগ করেননি মমতা! দায়িত্ব বণ্টনের খবর ভুয়ো, দাবি তৃণমূলের