নয়াদিল্লি : বৃহস্পতিবার পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই বিক্ষোভকারী কৃষকরা শুরু করলেন ট্রাক্টর মার্চ। হাজার হাজার কৃষক সামিল হন এই মার্চে। দিল্লির সিঙ্ঘু, টিকরি ও গাজিপুর সীমান্ত থেকে দিল্লির উদ্দেশ্যে শুরু হয় ট্রাক্টর মার্চ। ট্রাক্টর র্যালি চলছে সিঙ্ঘু থেকে টিকরি সীমান্তে, টিকরি থেকে কুন্ডলি, গাজিপুর থেকে পালওয়াল ও রিওয়াসান থেকে পালওয়ালের উদ্দেশ্যে।
সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে বৃহস্পতিবার আগেই জানানো হয়েছিল ট্রাক্টর মার্চ করা হবে। এক কৃষক নেতাকে উদ্ধৃত করে পিটিআই জানিয়েছে আন্দোলনের রেশ বাড়বে। সংযুক্ত কিষাণ মোর্চার নেতা অভিমন্যু কোহর জানান সরকার দাবি না মানলে আন্দোলন জোরদার করা হবে।
এদিকে, প্রথমে ঠিক হয়েছিল সোমবার সরকারের সঙ্গে আলোচনা ব্যর্থ হলে বুধবার ৬ জানুয়ারি দিল্লি রিং রোড ধরে ট্রাক্টর জাঠা করার। কিন্তু রবিবার এবং সোমবার দুদিন রীতিমতো দুর্যোগ চলায় এবং বুধবারেও ঝড় বৃষ্টির আশঙ্কা কথা জানা গেলে এই সময় সূচি বদলাতে হয়েছে। মঙ্গলবার দিনেও বৃষ্টি হয়েছে এবং তারই মধ্যে কৃষক নেতৃত্ব আলোচনায় বসে ট্রাক্টর জাঠা দেওয়া হয়। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বুধবারের পরে বৃহস্পতিবার এই কর্মসূচি পালন করা হবে।
পরিকল্পনা করা হয়েছে ৭ জানুয়ারি সকাল এগারোটা নাগাদ দিল্লির সবদিক থেকে ট্রাক্টর মিছিল এগিয়ে আসবে। ট্রাক্টর যাবে কুণ্ডলী, টিকরি ,ধাসা সীমান্ত থেকে। পাশাপাশি গাজীপুর সীমান্ত থেকে ট্রাক্টর মিছিল এগিয়ে আসবে পালওয়ালের দিকে। কৃষক নেতাদের বক্তব্য, দুর্যোগের কারণে দিন পিছলেও লড়াই জারি থাকছে। তাদের অভিমত, দিল্লিতে এই ছাব্বিশের মহড়া হলেও তা দেখবে গোটা দেশ।
সোমবারের বৈঠক নিষ্ফলা হওয়ায় ফের ৮ জানুয়ারি কৃষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবে কেন্দ্র। শেষ বৈঠকের সময় যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয় তিন কৃষি আইন প্রত্যাহার না করে আলোচনা করা হবে তখনই বৈঠকে উপস্থিত কৃষকেরা গর্জে ওঠেন। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে মন্ত্রীরা ঘুরে ফিরে আইন সংশোধনের কথাই বলেছেন। আর সেটা মানতে নারাজ কৃষক প্রতিনিধিরা। তারা একেবারে অনড় কৃষি আইন বাতিলের ব্যাপারে। সরকারের পক্ষ থেকে অযথা কালক্ষেপ একেবারেই ভালো চোখে দেখছে না কৃষক নেতারা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.