স্টাফ রিপোর্টার, ঝাড়গ্রাম: নেতাই দিবসের অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর মাল্যদানের পর শহিদ বেদী শুদ্ধিকরণ করল তৃণমূল। তার পর সেখানে শ্রদ্ধা জানালেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র সহ অন্যান্য তৃণমূল নেতারা।
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর রাজনৈতিক দলবদলের সঙ্গে সঙ্গেই বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে গিয়েছে নন্দীগ্রাম, নেতাই। বুধবার রাত ১২টার পর নন্দীগ্রামে শহিদদের শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন নব্য বিজেপি নেতা শুভেন্দু। এরপর ৭ জানুয়ারি সকাল ৮:৪৫ নাগাদ নেতাইয়ে পৌঁছন তিনি। শহিদ বেদীতে মাল্যদানের পাশাপাশি নিহত পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা জানান শুভেন্দু। পরে ১ মিনিট নীরবতা পালন করেন।
সদ্য পুরোনো দল তৃণমূলের সমালোচনা করে শুভেন্দু এদিন নেতাইয়ে বলেন, ‘এতদিন আর কাউকে দেখা যায়নি। ভোট এসেছে তাই ফের নন্দীগ্রাম, নেতাইয়ের কথা মনে পড়েছে।’ পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও মদন মিত্রকে বহিরাগত বলেও আক্রমণ শানান তিনি।
শুভেন্দু যাওয়ার পরই নেতাইয়ে শহীদ বেদিতে যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্ররা। সেখানে মাল্যদানের আগে ‘শুদ্ধিকরণ’ করা হয়। গঙ্গাজল দিয়ে ধুয়ে ফেলা হয় শহিদ বেদি। তৃণমূলের দাবি, শুভেন্দুর মতো মিরজাফর শহিদ বেদী ছোঁয়ায় তা অপবিত্র হয়েছে। তাই তার শুদ্ধিকরণ প্রয়োজন। এরপর মাল্যদান করা হয়। মাল্যদানের পর লালগড়ের সভামঞ্চ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে একহাত নেন তাঁরা।
মদন মিত্র শুভেন্দুকে আক্রমণ করে বলেন, “সত্যবাদী যুধিষ্ঠিরকেও নরকে যেতে হয়েছিল কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর নরকেও জায়গা হবে না। কারণ উনি বলেছেন নেতাই-নন্দীগ্রামের জন্য নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আসেননি, এসেছিল ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব।”
পাশাপাশি স্বজনপোষণ নিয়েও শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “বলছে যে তৃণমূলকে ঘেন্না করে। আপনার বাবাও তো তৃণমূল করেন, তাহলে কী বাবাকেও ঘেন্না করেন?
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি নেতাইয়ে দলীয় কর্মী রথীন দণ্ডপাটের বাড়ির সিপিএম শিবির থেকে নিরীহ গ্রামবাসীর উদ্দেশে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। ৪ মহিলা-সহ ৯ জন মারা যান। আহত হন ২৮ জন। ঘটনার পরের বছর থেকে সেই দিনটির স্মরণে শহিদ দিবস পালন করে আসছে তৃণমূল।
তৃণমূলের মন্ত্রী থাকাকালীন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মেনে জঙ্গলমহলের দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু। সেই সময় থেকেই লালগড়ের নেতাই গ্রামের একজন হয়ে ওঠেন তিনি। নিহত ও আহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল সরকার। তবে সেই ‘কৃতিত্ব’ শুভেন্দুর বলে অনেকে দাবি করেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.