নয়াদিল্লি: ২০২১ এ প্রবল আকার ধারণ করেছে বার্ড ফ্লু। হিমাচল প্রদেশে এখন অবধি প্রচুর পাখির মৃত্যু হয়েছে। রাজস্থান-মধ্যপ্রদেশ ও কেরলে হাঁসেরা এই মারাত্মক ভাইরাসের শিকার হয়েছে। গত কয়েকদিনে হরিয়ানায় বার্ড ফ্লুর কারণে প্রায় এক লাখ পোল্ট্রির মৃত্যু হয়েছে। হিমাচল প্রদেশের পং ড্যাম লেকের কাছে প্রায় ১৮০০ বিদেশি অভিবাসী পাখির মৃত্যু হয়েছে। একই ভাবে রাজস্থানে প্রায় ২৫০ কাকের মৃত্যু হয়েছে।
বার্ড ফ্লু একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক রোগ যা ইনফ্লুয়েঞ্জা টাইপ-এ ভাইরাসের কারণে ছড়িয়ে পড়ে। একে এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জাও বলা হয়। পাখি থেকে মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর মধ্যেও বার্ড ফ্লু ছড়িয়ে যেতে পারে। এটি মূলত পোল্ট্রি ফার্মগুলিতে বেড়ে ওঠা মুরগি থেকে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করে। করোনার মতো এটিরও বিভিন্ন স্ট্রেন রয়েছে।
‘হু’ এর রিপোর্টে বলা হয়েছে, জীবিত বা মৃত আক্রান্ত পাখির সংস্পর্শে এলে এই রোগ হতে পারে। তবে এক ব্যক্তি থেকে সহজে অন্য ব্যক্তির মধ্যে এই রোগ ছড়ায় না। এমনকি রান্না করা হাঁস-মুরগির মাংস খেলে যে বার্ড ফ্লু হতে পারে এমন প্রমাণও নেই। এই ভাইরাস তাপের সংবেদনশীল এবং রান্নার তাপমাত্রায় নষ্ট হয় বলে মনে করা হয়।
অনেক ধরণের বার্ড ফ্লু রয়েছে। তবে H5N1 হ’ল এমন এক এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাস যা মানুষকে সংক্রামিত করে। পাখি, জলজ পাখি বিশেষত বন্য হাঁস দ্বারা প্রাকৃতিকভাবে ছড়িয়ে পড়ে বার্ড ফ্লু। পোষা মুরগিতেও সহজে ছড়িয়ে পড়ে এই রোগ। এই রোগটি আক্রান্ত পাখির মলের সঙ্গে সংস্পর্শে এলে নাকের ক্ষরণ, মুখের লালা বা চোখ থেকে বেরিয়ে আসা জলের সংস্পর্শে এলে ছড়িয়ে পড়ে।
দেশীয় পোল্ট্রি ফার্মের মুরগি সংক্রামিত হওয়ার পরে, এটি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে হেলথলাইনের রিপোর্ট বলছে, পুরোপুরি রান্না করা মাংস বা পাখির ডিম খাওয়ার মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়ে না। তবে কেউ যদি কেউ ঠিকমতো ডিম বা মাংস রান্না না করে সেক্ষেত্রে বার্ড ফ্লুর শিকার হতে পারে।
যখন চারিদিকে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তখন হাইজিন-হ্যান্ডওয়াশ ঠিকমতো ব্যবহার না হলে আক্রান্ত হতে পারেন। বাড়ির যে কোনও সংক্রামিত ব্যক্তির থেকেও একটি নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.