নেতাইয়ের সব দোষ সিপিএম-এর নয়! 'বহিরাগত'দের নিশানা করে বিস্ফোরক শুভেন্দু
নেতাইয়ের সভা থেকে বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূলকে (trinamool congress) আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর (suvendu adhikari)। গভীর রাতে নন্দীগ্রাম দিবস পালন করে ভোরে নেতাইয়ের উদ্দেশে রওনা দেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপিতে (bjp) যোগ দেওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারীর এটাই প্রথম নেতাই দিবস পালন।

নেতাই দিবস পালন শুভেন্দুর
এদিন সকাল ৮.৪৫ নাগাদ নেতাইয়ে পৌঁছে যান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি শহিদ বেদিতে মালা দেন। নিহতদের পরিবারের সদস্যদেরও সংবর্ধনাও জানান তিনি। সেখানে নিহতদের উদ্দেশে এক মিনিট নীরবতা পালনও করেন তিনি।

নেতাইয়ে দলের পতাকা নয়
এদিন নেতাইয়ে ভাষণ দিতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তৃণমূল এলাকায় যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, তা সাধারণ মানুষ ভাল চোখে নেয়নি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য এলাকায় গোটা রাস্তায় তৃণমূলের পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। সেই ঘটনার কথাই এদিন উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, তিনি এতদিন সেখানে তৃণমূলের পতাকা ব্যবহার করেননি। এখন তিনি বিজেপি নেতা। কিন্তু সেই বিজেপির কোনও পতাকা তিনি আনেননি বলে জানান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, স্মৃতিরক্ষা কমিটির নামে সেখানে শহিদ দিবস পালন করা হয়। সব রাজনৈতিক দলের নেতারাই সেখানে শ্রদ্ধা জানাতে যান বলে উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

নেতাই দিবস পালন করছে তৃণমূলও
এদিন নেতাই দিবস পালন করছেন তৃণমূলও। কর্মসূচিতে অংশ নিতে বুধবার রাতেই ঝাড়গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র। এদিন সকাল থেকে আদিবাসীদের হড়কা জ্যাম কর্মসূচি থাকার কারণেই রাতেই মদন মিত্র পৌঁছে যান ঝাড়গ্রামে। তিনি ছাড়াও এদিন নেতাইয়ে তৃণমূলের কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এছাড়াও সৌমেন মহাপাত্র এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি এবং ঝাড়গ্রাম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।

নেতাই-এ তৃণমূল নেতারা বহিরাগত
এদিন বহিরাগত ইস্যুতে তৃণমূলকে নিশানা করেন শুভেন্দু অধিকারী। নেতাই দিবসে কলকাতা ও অন্য জেলা থেকে যাওয়া তৃণমূলের নেতাদের তিনি বহিরাগত বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, যাঁরা কোনও দিন খোঁজ করেননি, তাঁরা আজ আসছেন। যে শহিদ বেদিটি গ্রামে রয়েছে, তা তাঁরই প্রচেষ্টায় তৈরি বলেও উল্লেখ করেন শুভেন্দু অধিকারী।

নেতাইয়ের সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, নেতাইয়ের সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক। গত বছরেও তিনি যখন গিয়েছিলেন, তখনও স্থানীয় মানুষের মধ্যে ক্ষোভ দেখেছিলেন। তিনি বলেন, সব বাড়িতে চাকরি দেওয়ার তমো ক্ষমতা তৃণমূল সরকার তাঁকে দেয়নি। তিনি বলেন, সীমিত ক্ষমতার পাশাপাশি বাড়ি তৈরি করে দেওয়া এবং স্বনির্ভতার জন্য তিনি স্থানীয়দের হাতে সেলাই মেশিন তুলে দিয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, জঙ্গলমহলের সঙ্গে তাঁর হৃদয়ের সম্পর্ক। নেতাইয়ের ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, শুধু সিপিএমকে দোষ দিলে হবে না। জনসাধারণের কমিটির নামে সেই সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি করা হয়েছিল। একাধিকা জায়গায় রাস্তা অবরোধ করে আটকে ভয় দেখানো হয়েছিল সেই সময়।