পানাজি: চলতি আইএসএল শুরু থেকেই যে কারণের জন্য শিরোনামে, তা হল রেফারিং’য়ের জঘন্য মান। রেফারিং নিয়ে বিভিন্ন দলের বিস্তর অভিযোগ থাকলেও প্রথম অভিযোগটা গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গলের তরফ থেকেই। এরপর এফএসডিএলে আইএসএলে রেফারিং’য়ের মান বাড়াতে ওপেন কমিউনিকেশন ফোরামের কথা ঘোষণা করে। কিন্তু কোথায় কী? আইএসএলে রেফারিং যে দিনকে দিন খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়ে উঠছে। বুধবার এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে রেফারির একাধিক খারাপ সিদ্ধান্তের শিকার হয়ে ফের রেফারিং নিয়ে এআইএফএফ এবং এফএসডিএলের কাছে অভিযোগ জানাতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল।
ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্টের বক্তব্য, গোয়ার বিরুদ্ধে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আরুমুঘান রোয়ানের জঘন্য কিছু সিদ্ধান্ত ম্যাচের ভাগ্য বদলে দিয়েছে। এদিন ম্যাচের ৫৬ মিনিটে আলেকজান্ডার রোমারিওকে একটি চ্যালেঞ্জ করে লাল কার্ড দেখেন ইস্টবেঙ্গল অধিনায়ক ড্যানি ফক্স। রিপ্লেতে দেখা যায় ট্যাকলটি কড়া হলেও ফক্স বলেই পা লাগিয়েছেন। ইস্টবেঙ্গল ম্যানেজমেন্ট মনে করে ফক্সকে লাল কার্ড দেখানোটা একেবারেই অনুচিত হয়েছে।
দ্বিতীয়টি অভিযোগ অবশ্যই ব্রাইট এনোবাখারের বাতিল হওয়া গোলটি নিয়ে। সুরচন্দ্র বল নিয়ে বক্সে গোয়া গোলরক্ষক মহম্মদ নওয়াজকে টপকে গোল করতে গেলে গোয়া গোলরক্ষক সেই প্রচেষ্টা প্রতিহত করেন। ফিরতি বল এনোবাখারে জালে রাখলে তা বাতিল করা হয়। রেফারির দাবি সুরচন্দ্র নাকি নওয়াজকে ফাউল করেছেন। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা যায় সুরচন্দ্র নন, বরং নিজের দলের এক সতীর্থের সঙ্গে সংঘর্ষেই আঘাত পেয়েছেন নওয়াজ। সবমিলিয়ে রেফারিং নিয়ে একরাশ ক্ষোভ লাল-হলুদের অন্দরে।
ইস্টবেঙ্গলের এক অফিসিয়াল গোল ডট কমকে জানিয়েছেন, ‘প্রত্যেক ম্যাচের পর ক্লাবগুলো এখন রেফারিং নিয়ে অফিসিয়াল ফিডব্যাক দিতে পারে। আমরা ফিডব্যাকের সঙ্গে এআইএফএফ এবং এফএসডিএলের কাছে অভিযোগও জানাচ্ছি দু’টো সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে। এইসব ভুলগুলো শীঘ্র শুধরে নেওয়া উচিৎ। কারণ দলগুলো এতে দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.