স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: তৃণমূল কংগ্রেস ভারতীয় ক্রিকেটের প্রাক্তন অধিনায়ক তথা সিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে কোনও ‘রাজনৈতিক চাপ’ দেয়নি৷ সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যর মন্তব্য প্রসঙ্গে বুধবার এই দাবি করলেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার৷

বিতর্ক উস্কে দু-দিন আগেই সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য দাবি করেছিলেন নিজেদের ‘রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি’-র জন্য কেউ কেউ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ব্যবহার করছেন। তাঁর উপর ‘চাপ’ তৈরি করা হয়েছিল। এপ্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের মন্তব্য, একজন ডাক্তার হিসেবে আমার মনে হয়, একটা স্ট্রেস থেকে এটা হয়েছে৷ কিন্তু কারা এই চাপ দিয়েছে সেটা ওনাকে(অশোক ভট্টাচার্য) জিজ্ঞাসা করুন৷ আমাদের দল সৌরভকে কোনও চাপ দেয়নি৷

রবিবার সকালে সৌরভকে দেখতে উডল্যান্ডস হাসপাতালে আসেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য। কাজ ও পারিপার্শ্বিক চাপের কারণে সৌরভ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন কিনা, সেই প্রশ্নের জবাবে অশোক বলেন, ‘চাপের মধ্যে মানে, চাপ তো একটা দিয়েছে। কাগজে-টাগজে আমরা যেভাবে দেখেছি, এটা কাম্য ছিল না। সৌরভ একটা অন্য জগতের মানুষ, আমরা চাই সেই জগতেই থাকুক। সবার প্রিয় হয়ে থাকবে। কিন্তু কেউ কেউ হঠাৎ মনে করছেন যে তাকে ব্যবহার করে তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধি করা যাবে। এরকম যাঁরা করেছেন, (তার জেরে) ওর উপর কিছুটা প্রেশার (চাপ) তো হয়েছে। হয়নি, সেটা আমি বলব না। এটা কাম্য নয়।’

গত কয়েক সপ্তাহে বঙ্গরাজনীতিতে বারবার ঘুরপাক খেয়েছে মহারাজের নাম। জল্পনা বাড়িয়েছে তাঁর রাজভবন যাওয়ার মতো নানা ঘটনা। রাজনৈতিক মহলে বলাবলি শুরু হয়ে যায়, এবার রাজনীতিতে আসতে পারেন সৌরভও। এমনকি বাংলার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী প্রোজেক্ট করতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। যদিও সৌরভ এই নিয়ে একটি কথাও বলেননি এছনও।

ইতিমধ্যেই সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্যের মন্তব্য়ের বিরোধিতা করে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, ‘আমরা সৌরভের সুস্থতা কামনা করছি। কিন্তু এর মধ্যে যাঁরা রাজনীতি খুঁজে পাচ্ছেন তাঁদের রাজনৈতিক বিকৃতি হয়েছে।’

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।