কলকাতা: প্রত্যাশা মতোই আজ, বুধবার ঘরে ফিরছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়৷ এই খবরে আপাত স্বস্তিতে আপামর ক্রিকেটপ্রেমী৷ শনিবারের বারবেলায় মহারাজের অসুস্থতার খবরে মুষড়ে পড়েছিল গোটা দেশ৷ ঘুম উড়েছিল বঙ্গবাসীর৷ উডল্যান্ডের সামনে ভিড় জমিয়েছিল আবেগতাড়িত মানুষ৷ তাঁকে দেখতে উপচে পড়ে ভিভিআইপিদের ভিড়৷ যার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বানাতে হয় আস্ত একটি লাউঞ্জ৷ তবে লড়াই শেষে আজ ঘরের ছেলের ঘরে ফেরার পালা৷

মঙ্গলবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখতে বিশেষ বিমানে কলকাতা উড়ে এসেছিলেন হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠী৷ তিনি অগনিত সৌরভ ভক্তদের আশ্বস্ত করে জানান, সম্পূর্ণ বিপন্মুক্ত রয়েছেন সৌরভ৷ তাঁর চিকিৎসা সম্পূর্ণ ঠিকঠাক হয়েছে বলেও সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি৷ সৌরভ শুধু বাঙালির আইকন নন, তিনি কিংবদন্তী ক্রিকেট তারকা৷ তাঁর অসুস্থতার খবরে বিচলিত হয়ে উঠেছিল দেশের মানুষ৷ ‘দাদা’র জন্য বাঙালি হৃদয়ের এই উদ্বেগ খুবই স্বাভাবিক৷ তাঁর সুস্থ হওয়ার অপেক্ষায় যেন প্রহর গুনছিল বাংলার মানুষ৷ আজ সেই অপেক্ষারই অবাসান৷ এদিন সকালেই হাসপাতাল থেকে ছুটি পাবেন মহারাজ৷

গতকাল দেবী শেঠি কথা বলেন উডল্যান্ডের ৯ সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ডের সঙ্গে৷ এর পরেই সৌরভের বাড়ি ফেরায় সিলমোহর দেন তিনি৷ তবে বাড়ি ফিরলেও আপাতত দু’ সপ্তাহ পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে বিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্টকে৷ এর পর সৌরভের পরর্বতী অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করার দিন ঠিক করা হবে৷ সুস্থ হওয়ার পর আবার আগের মতোই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন সৌরভ৷ আগের মতোই খাওয়া-দাওয়া ও নিয়মিত জিমও করতে পারবেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক৷ সৌরভের হৃদযন্ত্রে কোনও ক্ষতি হয়নি বলেই জানিয়ে গিয়েছেন দেবী শেঠি৷

তবে তিনি জানিয়েছেন, সৌরভের করোনারি আর্টারিতে ব্লকেজ ধরা পড়েছে। ইতিমধ্যে সৌরভের ডান দিকের ধমনীতে একটি স্টেন্ট বসানো হয়েছে৷ বাঁ-দিকের ধমনীতেও আরও দু’টি ‘ব্লকেজ’ রয়েছে৷ সেখানেও দু’টি স্টেন্ট বসানো হবে বলে জানা গিয়েছে৷

মাত্র ৪৮-এ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের মতো একজন ক্রিড়াবিদের হৃদরোগ নাড়া দিয়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষকেও৷ নিজেদের জীবনযাপন সম্পর্কে ভাবাতে শুরু করেছে৷ এখান থেকে শিক্ষা নিয়েই সাধারণ মানুষের উদেশ্যে বিশিষ্ট হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ দেবী শেঠির পরামর্শ, চল্লিশোর্ধ্ব ব্যক্তিরা বছরে দু’বার অথবা অন্তত একবার করে অবশ্যই মেডিক্যাল চেক-আপ করান৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।