মমতা সভার আগেই প্রকাশ্যে রানাঘাটের গোষ্ঠীকোন্দল, প্রকাশ্যে অঞ্চল সভাপতিকে হুঁশিয়ারি ব্লকনেত্রীর
দলনেত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানেই প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব। তৃণমূল অঞ্চল সভাপতিকে প্রকাশ্য সভায় হুঁশিয়ারি তৃণমূল ব্লক সভানেত্রীর। সদ্য নির্বািচত অঞ্চল সভাপতিকে প্রকাশ্যে হুমকি দিয়ে ব্লক সভানেত্রী বলেছেন বেশি বাড়াবাড়ি করলে ফল ভাল হবে না। নতুন অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে দলেরই এক নেতার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছেন বলে অভিযোদ করেছেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের ব্লক সভানেত্রী। এদিকে কয়েকদিন পরেই রাণাঘাটে সভা করার কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

রানাঘাটে প্রকাশ্যে গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব
হাওড়ার পর এবার রাণাঘােট প্রকাশ্যে শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। দলনেত্রীর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকেই দলেরই অঞ্চল সভাপতিকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করলেন তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী। প্রকাশ্যে তাঁকে হুমকি দিয়ে দেখে নেবেন বলে জানিয়েছেন মহিলা নেত্রী। নতুন নির্বাচিত অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে দলেরই এক নেতার বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ করেছেন ওই মহিলা নেত্রী। যদিএ এই নিয়ে অঞ্চল সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

জানুয়ারিতেই রানাঘাটে সভা মমতার
এদিকে গোষ্ঠিদ্বন্দ্ব রয়েছে আঁচ করেই জানুয়ারিতেই রানাঘাটে সভা করতে চলেছেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১১ জানুয়ারি রানাঘাটে সভা করার কথা তাঁর। গত লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাটে ভোট কমেছে তৃণমূলের। সেকারণেই এবার রানাঘাটে বিশেষ মজর দিতে চাইছেন মমতা। তার আগেই গোষ্ঠি কোন্দল প্রকাশ্যে এসে পড়ায় জল্পনা বাড়ছে।

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার হাওড়া
লক্ষ্মীরতন শুক্লার পদত্যাগের পর হাওড়া তৃণমূল কংগ্রেস কার্যত 'লক্ষ্মীহারা' হয়ে গিয়েছেষ প্রকাশ্যে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া, হাওড়ার প্রাক্তন মেয়র রথীন চক্রবর্তী থেকে শুরু করে জগদীশ পুরের নেতা গোবিন্দ নস্করও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। সকলেরই একটাই অভিযোগ হাওড়ায় কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। সকলেই আঙুল তুলেছেন অরূপ রােয়র বিরুদ্ধে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য লক্ষ্মীরতন শুক্লা সরে যাওয়ার পরেই জেলা সভাপতি পদে বসানো হয়েছে অরূপ ঘনিষ্ঠকে।

লক্ষ্মীর পদত্যাগ
একরকম হঠাৎ করেই রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। গতকালই মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করে দলের সব দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চেয়েছেন তিনি। তারপরেই জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। লক্ষ্মীরতন শুক্লা ঘনিষ্ঠ মহলে নাকি জানিয়েছেন তাঁকে হাওড়ায় কাজ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। বারবার তাঁকে আঘাত করা হচ্ছিল সেকারণেই তিনি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
রাজ্যে ওয়েইসির মোকাবিলা কীভাবে ব্যাখ্যা করলেন ত্বহা! 'ভাইজান'কেও নিশানা তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ধর্মীয় নেতার