উইপোকারা কুরে খাচ্ছে দলকে, লক্ষ্মীর ইস্তফার পর বৈশালী মন্তব্যে নতুন রাজনৈতিক জল্পনা
দুঃখ পেয়েই সরে দাঁড়িয়েছে লক্ষ্মী। ক্রীড়ামন্ত্রীর পদত্যগ নিয়ে এবার সরব হলেন দলেরই আরেক বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। যে অভিযোগ একের পর এক করেছেন বৈশালী সেটা খুব একটা সুখের নয় শাসক দলের কাছে। বৈশালী দাবি করেছেন উইপোকারা কুরে কুরে খাচ্ছে দলটাকে। তাদের ঝেড়ে ফেলতে না পারলে আরও অনেক সৎ নেতা দল ছাড়তে বাধ্য হবেন। লক্ষ্মীর ইস্তফার পর বৈশালীর এই মন্তব্য ঘিরে জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। তাহলে কী এবার লক্ষ্মীর পরে বৈশালীও সেই পথে যাবেন এই নিয়ে জল্পনা বাড়ছে রাজনৈতিক মহলে।

বেসুরো বৈশালী
পাশাপাশি দুই বিধানসভার বিধায়ক লক্ষ্মীরতন শুক্লা আর বৈশালী ডালমিয়া। খেলার কারণেও তাঁদের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে। তাই মন্ত্রিত্ব থেকে লক্ষ্মীর সরে যাওয়াটা মেনে নিতে পারছেন না বৈশালী ডালমিয়া। তিনি দাবি করেছে লক্ষ্মীরতন শুক্লা পালিয়ে যাননি। অনেক আঘাত পেয়ে বাধ্য হয়ে তাঁকে সরে দাঁড়াতে হয়েছে। দলে অনেক উইপোকা রয়েছে। তাদের তাড়ােত না পারলে ভবিষ্যতে আরও অনেক নেতাই দল ছেড়ে চলে যাবেন। বৈশালীর এই মন্তব্যের পর নতুন করে জল্পনার পারদ চড়তে শুরু করেছে। তাহলে কী তিনিও এরকম কোনও ভাবনার মধ্যে রয়েছেন। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

কোন পথে বৈশালী
কেবল লক্ষ্মীকে নিয়েই নয় এর আগেও একাধিকবার বেসুরো শুনিয়েছে বৈশালী ডালমিয়াকে। বালিতেই তাঁকে বহিরাগত বলে আক্রমণ করা হয়েছিল। পোস্টার দেওয়া হয়েছিল বহিরাগত নাম দিয়ে। তারপরেই তৃণমূলের বহিরাগত মন্তব্য নিয়ে বৈশালী বলেছিলেন যেখানে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে বহিরাগত বলা হচ্ছে সেখানে তিনি কী এমন। এই নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বৈশালী। শোনা যাচ্ছে শুভেন্দুর পর নাকি বৈশালী, লক্ষ্মীরতন শুক্লা, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় এরা সকলে বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন।

পদত্যাগ লক্ষ্মীর
ফের মহাপতন তৃণমূেল। রাজনীতিতে অবসর নিচ্ছেন ঘোষণা করে মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। হাওড়ার জেলা সভাপতি পদ থেকেও ইস্তফা দেন তিনি। কারণ হিসেবে খেলায় মন দিতে চান বলে উল্লেখ করেছেন লক্ষ্মী। যদিও বৈশালী ডালমিয়ার দাবি হাওড়ায় প্রবল গোষ্ঠিদ্বন্দ্বের কারণেই পদত্যাগ করেছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি নাকি জানিয়েছিলেন কাজ করতে পারছিলেন না িতনি এতোটাই চাপে রয়েছেন।

নতুন জেলা সভাপতি অরূপ ঘনিষ্ঠ
লক্ষ্মীকে এক প্রকার সরে দাঁড়াতে বাধ্য করলেন অরূপ রায়। এমনই দাবি করেছেন লক্ষ্মী ঘনিষ্ঠরা। তৃণমূল নেতা সরে যাওয়ার পরেই হাওড়ার জেলা সভাপতি পদে বসানো হয় অরূপ রায় ঘনিষ্ঠকে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অরূপকে সরিয়েই লক্ষ্মীকে হাওড়া জেলা সভাপতি পদে বসিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু তার পর থেকে লাগাতার অবহেলায় পড়েছেন তিনি। একাধিক অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি লক্ষ্মীকে এমনকী দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও জেলা সভাপতিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বলে অভিযোগ।

বাংলায় বিজেপির গলার কাঁটা হতে চলেছে এনডিএ শরিক! কেমন হতে চলেছে জঙ্গলমহলের ভোট সমীকরণ