বিশেষ প্রতিবেদনঃ  সদাব্যস্ত শহুরে জীবনে শাঁখ এখন ঘরের কোণে স্থান পাওয়া একটা সামগ্রী মাত্র ৷ প্রতিদিনের তাড়াহুড়োয় সন্ধ্যাপ্রদীপ দেওয়ার সময় হয় না, তায় আবার শঙ্খধ্বনি ৷ শুধু পুজোতেই নিয়মমাফিক শাঁখের উপস্থিতি দেখা যায় ৷ তারপর আবার তা হারিয়ে যায় ৷ কিন্তু বাস্তশাস্ত্র বলছে, শাঁখ বাড়িতে রাখা উচিত ৷

১. বাড়িতে কেন শাঁখ রাখবেন

শঙ্খ একটি সামুদ্রিক প্রাণী ৷ বেদে এর উল্লেখ আছে ৷ হিন্দুশাস্ত্রে শাঁখ বিষ্ণুর প্রতীক ৷ বিশ্বাস করা হয়, শাঁখের শব্দ সবরকম নেতিবাচক শক্তিকে নষ্ট করতে পারে ৷

২. বিষ্ণুর অস্ত্র

হিন্দু পুরাণে বিষ্ণুর একাধিক রূপের কথা উল্লেখ আছে ৷ প্রতিক্ষেত্রেই উল্লেখ আছে শঙ্খের কথা ৷ প্রতিবারই নেতিবাচক শক্তির বিরুদ্ধে বেজে উঠেছে সেই শাঁখ ৷ এটি বিষ্ণুর পবিত্র প্রতীক ৷ হিন্দুধর্ম ছাড়া বৌদ্ধ ধর্মেও শাঁখের গুরুত্ব অপরিসীম ৷

৩. শাঁখের যৌক্তিকতা

বেদ অনুসারে শাঁখ দুভাবে ব্যবহার করা হয় ৷ প্রথমত, আওয়াজের কারণে; দ্বিতীয়ত, পুজোর জন্য ৷ বলা হয়, যারা প্রতিদিন শাঁখ বাজায়, তাদের হৃদপিন্ডঘটিত রোগ কম হয় ৷ অনেকে পবিত্র প্রতীক হিসেবে শাঁখ বাড়িতে রাখে ৷

৪. শাঁখের পুজোবিধি

দিনে অন্তত দুবার শাঁখ বাজানো উচিত ৷ সকালে ও বিকেলে ৷ কিন্তু শাঁখ ব্যবহারের কিছু নিয়মকানুন আছে ৷

যখনই আপনি শাঁখ কিনবেন, অন্তত দুটি কিনুন ৷ সেগুলিকে বাড়ির আলাদা আলাদা স্থানে রাখুন ৷

যেই শাঁখটি বাজানোর জন্য কেনা হচ্ছে, তা কখনোই জল বা কোনও ধর্মীয় উৎসব দেওয়া উচিত নয় ৷ এছাড়া সেটি অবশ্যই হলুদ কাপড়ের উপর রাখা উচিত ৷

যেই শাঁখটি পুজোর জন্য কেনা হবে সেটি অবশ্যই গঙ্গাজল দিয়ে ধোয়া উচিত ও সাদা কাপড় জড়িয়ে রাখা উচিত ৷

যেই শাঁখটি বাজানোর জন্য কেনা হচ্ছে, তার চেয়ে পুজোর শাঁখটি উঁচুস্থানে রাখুন ৷

একই ঠাকুরঘর বা মন্দিরে একই কাজের জন্য দুই শাঁখ কখনই ব্যবহার করবেন না ৷

শিবলিঙ্গের উপরে কখনও শাঁখ রাখা উচিত নয় ৷ কোনও ধর্মীয় কাজের সময় শিবপিন্ডে যেন শাঁখের ছোঁয়া না লাগে ৷

শাঁখ কখনও শিব বা পালনকর্তা সূর্যকে জল দিতে ব্যবহার করা উচিত নয় ৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।