নয়াদিল্লি: গোটা বিশ্বে করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্তের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত৷ ইতিমধ্যে ভারতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ কোটি ছাড়িয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু ভারত যে ভাবে কোভিড পরিস্থিতির মোকাবিলা করেছে, যে ভাবে টিকা আবিষ্কারে বৈজ্ঞানিক সাফল্য এসেছে তাতে অভিভূত বিল গেটস৷ একই সঙ্গে জোড়া ভ্যাকসিনে সিলমোহর দিয়েছে ভারত৷ আগামী দশ দিনের মধ্যেই শুরু হবে টিকাকরণ৷ ভারতের এই উদ্যোগের ভূয়ষী প্রশংসা করলেন মাইক্রোসফট কর্তা৷ তবে শুধু গেটসই নন, ভারতের প্রশংসার পঞ্চমুখ বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা প্রধান টেড্রস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাসও৷

রবিবার অক্সফোর্ডের কোভিড টিকা কোভিশিল্ডে অনুমোদন দিয়েছে ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল৷ এই টিকা ভারতে উৎপাদন করছে সিরাম ইনস্টিটিউট৷ এর পর দিনই সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি কোভ্যাক্সিন টিকাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়৷ এটি তৈরি করেছে ভারত বায়োটেক৷

সোমবার বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস টুইট করে বলেন, ‘‘বৈজ্ঞানিক উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে ভারতের নেতৃত্ব এবং টিকা উৎপাদনের ক্ষমতা দেখে দুর্দান্ত লেগেছে৷ গোটা বিশ্ব আজ কোভিড-১৯ প্যান্ডেমিকের বিরুদ্ধে লড়াই করছে৷” আবার হু প্রধান টুইট করে বলেন, ‘‘কোভিড মোকাবিলায় ভারত সঠিক সিদ্ধান্তনিয়েছে৷ কোভিড অতিমারি ঠেকাতে ঐক্য ও সংহতির সঙ্গে কাজ করেছে৷’’

বিশ্বে কোভিড টিকা উৎপাদনের ক্ষেত্রে বিভিন্ন সংস্থাকে আর্থিক মদত করেছে বিল গেটস-এর সংস্থা৷ অ্যাস্ট্রোজেনেকা, জনসন অ্যান্ড জনসন এবং নোভাভ্যাক্সের কোভিড টিকা গবেষণায় আর্থিক সহযোগিতা করেছেন তাঁরা৷ ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটকেও আর্থিক মদতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিল গেটস৷

এদিকে ভারতে দুটি কোভিড টিকা ছাড়পত্র পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘বিশ্বের বৃহত্তম টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে৷ এর সাফল্যের পিছনে বিজ্ঞানী ও প্রযুক্তিবিদদের অবদানকে দেশবাসী কুর্নিশ জানায়৷’’ ন্যাশনাল মেট্রোলজি কনক্লেভে বিজ্ঞানীদের সামনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় নমো বলেন, আজ বিশ্বজুড়ে শুধু ‘দেশীয় পণ্যে’র চাহিদাই তৈরি হয়নি৷ রয়েছে গ্রহণযোগ্যতাও৷ ভারতের তৈরি করোনা টিকা বিশ্ববাসীকেও সাহায্য করবে বলেই আশাবাদী তিনি৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।