নয়াদিল্লি: স্বস্তিতে মোদী সরকার। সংসদের নয়া ভবন তৈরিতে সবুজ সংকেত শীর্ষ আদালতের। সংসদের নয়া ভবন তৈরির যৌক্তিকতা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তোলে বিরোধী একাধিক রাজনৈতিক দল। শেষমেশ জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
সর্বোচ্চ আদালতেও এব্যাপারে রায় দানের সময় তিন বিচারপতির মতানৈক্য তৈরি হয়। তবে শেষ পর্যন্ত দুই বিচারপতি সংসদের নয়া ভবন তৈরিতে তাঁদের সমর্থনের কথা জানান। সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের সুবাদে সংসদের নয়া ভবন তৈরিতে মেলে ছাড়পত্র।
করোনাকালে সংসদের নয়া ভবন তৈরির ব্যাপারে উদ্যোগ নেওয়ায় গোড়া থেকেই মোদী সরকারের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে বিরোধী কংগ্রেস-সহ একাধিক রাজনৈতিক দল। বিশাল খরচে সংসদের নয়া ভবন তৈরির এই উদ্যোগ কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজনৈতিক নেতারা।
তবে বিরোধীদের সেই সব আপত্তিতে শুরু থেকেই কান দিতে নারাজ কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প সংসদের নয়া ভবন। শুরু থেকেই তিনি নয়া ভবন তৈরির পক্ষে সওয়াল করে চলেছেন। মোদীর ইচ্ছাকে মর্যাদা দিয়ে সংসদের নয়া ভবন তৈরির পক্ষে সওয়াল করতে দেখা গিয়েছে অমিত শাহ, রাজনাথ সিংদের।
তবে দেশের বিজেপি বিরোধী দলগুলি মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের শুরু থেকেই বিরোধিতা করছে। তাদের যুক্তি, করোনাকালে বিপুল খরচে কেন্দ্রের এই নয়া ভবন তৈরির উদ্যোগ একেবারেই সঙ্গত নয়।
উল্টে এত বড় একটি প্রকল্প তৈরিতে পরিবেশ দূষণের মতো সমস্যা আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা বিরোধীদের। একইসঙ্গে জমির চরিত্র বদলেরও আশঙ্কা করছেন কেউ-কেউ। শেষমেশ সংসদের নয়া ভবন তৈরি নিয়ে বিতর্কের জল গড়ায় সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত।
তবে শেষমেশ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাধের প্রকল্প নয়া সংসদ ভবনের নির্মাণ শুরুর ব্যাপারে ছাড়পত্র দিয়েছে শীর্ষ আদালত। তবে মামলার রায় দানের সময় মতপার্থক্য দেখা দেয় তিন বিচারপতির মধ্যে।
বিচারপতি খানউইলকর ও বিচারপতি দীনেশ মাহেশ্বরী নয়া সংসদ ভবন তৈরির পক্ষে মত দিয়েছেন। অন্য বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ভিন্ন মত দিয়েছেন। তবে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতে সংসদের নয়া ভবন তৈরিতে ছাড়পত্র মেলে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.