কলকাতা: বাংলায় ফের বাড়তে শুরু করেছে মৃতুহার৷ যা উদ্বেগ বাড়াচ্ছে স্বাস্থ্য দফতরের৷ দেশের মৃত্যুহার যেখানে ১.৪৫ শতাংশ, সেখানে রাজ্যে মৃত্যুহার বেড়ে ১.৭৭ শতাংশ৷

৪ জানুয়ারি সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলায় মৃত্যু হার ১ দশমিক ৭৭ শতাংশ৷ ৩ জানুয়ারি ছিল ১.৭৬ শতাংশ৷ তার আগে ২০২০ সালের ২৮ ডিসেম্বর মৃত্যহার ছিল ১.৭৫ শতাংশ৷ ২০ ডিসেম্বর ছিল ১ দশমিক ৭৪ শতাংশ৷ মৃত্যুহারের এই ক্রমবর্ধমান সংখ্যাটাই বাংলার উদ্বেগ বাড়াচ্ছে৷

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন বুলেটিনের তথ্য অনুযায়ী, একদিনে রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের৷ সোমবার ছিল ২৫ জন৷ সব মিলিয়ে বাংলায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৯ হাজার ৮৪১ জন৷

তবে চিন্তা বাড়াচ্ছে মৃত্যুহার৷ ৪ জানুয়ারির তথ্য অনুযায়ী,বাংলায় মৃত্যুহার বেড়ে ১.৭৭ শতাংশ৷ বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২ হাজার ২৯৫ জন৷ হোম আইসোলেশনে ৭ হাজার ২৮৯ জন৷ আর সেফ হোমে রয়েছেন মাত্র ৮৭ জন৷

গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত মাত্র ৮১২ জন৷ সোমবার ছিল ৫৯৭ জন৷ তুলনামূলক ফের বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা৷ তারফলে বাংলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যাটা বেড়ে ৫ লক্ষ ৫৬ হাজার ৩৮৪ জন৷

রাজ্যে একদিনে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১,১৬৬ জন৷ সোমবার ছিল ১,৩৪৭ জন৷ সব মিলিয়ে রাজ্যে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৫০ জন৷ আর সুস্থতার হার বেড়ে ৯৬.৫৬ শতাংশ৷

অ্যাক্টিভ আক্রান্তের সংখ্যাটা কমে ১০ হাজারের নিচে৷ তথ্য অনুযায়ী,৯ হাজার ২৯৩ জন৷ সোমবার ছিল ৯ হাজার ৬৭১ জন৷ তুলনামূলক ৩৭৮ জন কম৷

এই পর্যন্ত বাংলায় করোনা নমুনা টেস্ট হয়েছে সাড়ে ৭২ লক্ষের বেশি৷ তথ্য অনুযায়ী ৭২ লক্ষ ৬৬ হাজার ৩৮ টি৷ ফলে প্রতি ১০ লক্ষ জনসংখ্যায় টেস্টের সংখ্যা বেড়ে হল ৮০,৭৩৪ জন৷ একদিনে ৩০ হাজার ৭১২ টি টেস্ট হয়েছে৷ সোমবার ছিল ২৫ হাজার ২৫৬ টি৷

এই মুহূর্তে সরকারি এবং বেসরকারি মিলিয়ে রাজ্যে ৯৮ টি ল্যাবরেটরিতে করোনা টেস্ট হচ্ছে৷ আরও ১ টি ল্যাবরেটরি অপেক্ষায় রয়েছে৷

বি: দ্র: – প্রতিদিন সন্ধ্যায় রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন থেকে যে বুলেটিন প্রকাশিত হয়,সেখানে আগের দিন সকাল ৯ টা থেকে বুলেটিন প্রকাশিত হওয়ার দিন সকাল ৯ টা পর্যন্ত তথ্য উল্লেখ করা হয়৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।