প্রায় নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে কংগ্রেস, অর্ধেকের বেশি বিধায়ক ছাড়তে চলেছেন দল
বিহার কংগ্রেসের নেতা তথা লালগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক ভরত সিং দাবি করলেন যে কংগ্রেসের ১৯ বিধায়কের মধ্যে ১১ জনই খুব শীঘ্র জনতা দল ইউনাইটেডে যোগ দিতে চলেছেন। যা পরিস্থিতি, তাতে বিহার থেকেও কংগ্রেস প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে যেতে পারে। শুধু ১১ জন বিধায়ক নন, তাঁদের সঙ্গে কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতিও দলবদল করতে পারেন বলে খবর। পাশাপাশি দল বদল করতে পারেন রাজ্যসভার সাংসদ অখিলেশ প্রসাদ সিংহ এবং কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সদানন্দ সিং।

বিজেপির পথেই হাঁটছেন নীতীশ কুমার
অন্য দল থেকে বিধায়ক ভাঙিয়ে এনে সরকার গঠন বা দল ভারী করার রাজনীতিকে এক আলাদা মাত্রা নিয়ে গিয়েছেন বিজেপির চাণক্য হিসাবে পরিচিত অমিত শাহ। এবার সেই পথে হেঁটেই নিজের দল ভারী করা পথে হাঁটছেন নীতীশ কুমার। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের পর সরকার গঠন করলেও জোট শরিক বিজেপির থেকে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ে জেডিইউ।

জেডিইউ-তে নাম লেখাতে চাইছে বহু দলের বিধায়ক
এনডিএতে নিজেদের দর বাড়াতে রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির উপেন্দ্র কুশওয়াহার সমর্থন পেতে মরিয়া নীতীশ। পাশাপাশি কংগ্রেস এবং বহুজন সমাজবাদী পার্টির বহু বিধায়কও নীতীশের দলে যাওয়ার জন্যে পা বাড়িয়ে রয়েছে বলে খবর। এছাড়া আরও ছোটো ছোটো দলের বিধায়করাও সরকারে যোগ দিয়ে ক্ষমতা ভোগের লোভে জেডিইউ-তে নাম লেখাতে চাইছে।

৪৩টি আসন পেয়ে বিহার রাজনীতিতে কোণঠাসা নীতীশ
নির্বাচনে এবার এনডিএর ঝুলিতে গিয়েছে ১২৫টি আসন। যার মধ্যে বিজেপির পকেটে ঢুকেছে ৭৪টি। এই প্রথমবার বিহারে এনডিএ জোটে জুনিয়র পার্টনারে পরিণত হয়েছে নীতীশের দল। মাত্র ৪৩টি আসন পেয়ে বিহার রাজনীতিতে কোণঠাসা। এই ব্যবধান মেটাতেই এবার অন্য দল থেকে বিধায়ক ভাঙানোর খেলায় নেমেছেন নীতীশ।

নিশ্চিহ্ন হওয়ার পথে কংগ্রেস
এদিকে এদিন আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেসের জোট নিয়েও সুর চড়ান ভরত সিংহ। তিনি বলেন, আমি শুরু থেকেই আরজেডির সঙ্গে কংগ্রেসের জোটের বিপক্ষে ছিলাম, বহু বছর ধরে আমি আরজেডির সঙ্গে জোটের বিরোধিতা করেছি। কংগ্রেস বিহারে লড়েছিল ৭০ টি আসনে। কিন্তু সেখান থেকে জয় তুলে আনতে পেরেছে মাত্র ১৯ টিতে। যার জেরে পিছিয়ে পড়ে মহাজোট। এবার সেই ১৯ জনের মধ্যে ১১ জন যেতে চলেছেন জেডিই-তে।
নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কার্যত ঠিক করে ফেলেছেন 'মহারাজ' সৌরভ, এগোবেন কোন পথে!