মুম্বই: দীর্ঘ দিন ধরেই তাঁর গাড়িতে লাগানো ছিল ভুয়ো নম্বর প্লেট৷ এই ভাবেই অবলীলায় বাণিজ্যনগরীর রাস্তায় ছুটছিল তাঁর গাড়ি৷ কিন্তু ট্রাফিক নিয়ম ভাঙতেই গোটা নাটকের পর্দা ফাঁস৷ বেরিয়ে পড়ল কেঁচো খুড়তে কেউটে! যে সে নম্বর প্লেট নয়৷ জানা গেল, একেবারে রতন টাটার গাড়ির নম্বর প্লেট লাগিয়ে ঘুরছিলেন ওই মহিলা৷

সম্প্রতি মুম্বইয়ের ওরলিতে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করে ওই মহিলার গাড়ি৷ এর পরেই গোটা বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে৷ পুলিশের চালান যায় সোজা রতন টাটার দফতরে৷ ওই মহিলার সাফাই, তিনি জানতেনই না তাঁর গাড়িতে রতন টাটার গাড়ির নম্বর প্লেট লাগানো রয়েছে৷ এক সংখ্যাবিদের পরামর্শে জীবনে সাফল্য পেতেই নাকি এই নম্বর ব্যবহার করছেন তিনি৷ কিন্তু তাঁর সাফাই শুনতে নারাজ মুম্বই পুলিশ৷ বুধবার তাঁকে জেরা করার জন্য ডেকে পাঠানো হয়েছে৷

পুলিশ জানায়, ওরলিতে ট্রাফিক আইন ভাঙার জন্য রতন টাটার নামে জরিমানা করা হয়৷ সম্প্রতি ই-চালানও পাঠানো হয় তাঁর দফতরে৷ কিন্তু টাটার দফতর থেকে জানানো হয়, তাঁদের কোনও গাড়ি ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন করেনি৷ এর পরেই পুলিশ বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করতে থাকে৷ কোথা থেকে ই-চালান ইস্যু করা হয়েছে তা খুঁজে বার করা হয়৷ তদন্ত চলার সময়ই পুলিশ জানতে পারে, ট্রাফিক নিয়ম ভাঙা গাড়ির নম্বর প্লেট ভুয়ো৷ সেখানে রতন টাটার গাড়ির নম্বর লাগানো রয়েছে৷

পুলিশ জানতে পারে, আসলে ওই গাড়িটি একটি বেসরকারি সংস্থার এবং গাড়ির মালিক একজন মহিলা৷ এর পরেই ওই সংস্থা ও ওই মহিলার নামে মামলা রুজু করা হয়৷ সেই সঙ্গে গাড়িটি বাজেয়াপ্ত করে মুতুঙ্গা থানায় নিয়ে আসা হয়৷

সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানান, সংখ্যাতত্ত্বের গেরোয় পড়েই আসল নম্বর প্লেট খুলে রতন টাটার নম্বর প্লেট গাড়িতে লাগিয়ে ঘুরছিলেন ওই মহিলা৷ ভুল করে রতন টাটার দফতরে যে ই-চালান পাঠানো হয়েছিল, সেই চালান এখন ধরানো হয়েছে অভিযুক্ত মহিলার হাতে৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।