তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্ট! চিন্তা বাড়াচ্ছে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলার পরিস্থিতি
তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ্যে এনে ঘাসফুল শিবির দাবি করেছিল তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতার ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (mamata banerjee) । কিন্তু চিন্তা বাড়িয়ে রেখেছে একাধিক জেলা। সেইসব জেলাগুলির মধ্যে বাঁকুড়া (bankura)ও পুরুলিয়া(purulia) উল্লেখযোগ্য। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে এই দুই জেলা থেকে খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেসকে (trinamool congress)।
রাজ্যে বাড়ল করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা! ৩ দিন পরে সংক্রমণ ২০০ ছাড়াল কলকাতায়, একনজরে বাকি জেলাগুলি

মমতা হ্যাটট্রিক করবেন
বিজেপি দাবি করছে তারাই রাজ্যে ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু তৃণমূল নিযুক্ত বিভিন্ন সমীক্ষক সংস্যার রিপোর্ট অনুযায়ী, নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় ফিরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুভেন্দু অধিকারীর মতো একাধিক নেতার দলত্যাগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় ফেরাকে আটকাতে পারবে না। এই রিপোর্ট অনুযায়ী, তৃণমূল পেতে পারে ১৯০ টি আসন, আর বিজেপি ৯৮ টি। কংগ্রেস পেতে পারে ৬ টি। কিন্তু বামেদের ভাগ্যে একটি আসনও জুটবে না।

কঠিন লড়াইয়ের মুখে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায়
তৃণমূলের অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা অনুযায়ী, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় তারা কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়তে চলেছে। লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে দুই জেলার পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি বলেই জানা গিয়েছে। ১২ টি আসনের মধ্যে খুব কম আসনেই তারা লড়াইয়ের মতো জায়গায় রয়েছে বলে অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে উঠে এসেছে। তবে সুজাতা মণ্ডল খাঁকে দলে নেওয়ার পরে অবশ্য ঘাসফুল শিবির কিছুটা আশার আলো দেখছে। একই পরিস্থিতি পুরুলিয়া জেলাতেও। সেখানকার ৪০ শতাংশ তফশিলি জাতি ও উপজাতি ভোটারদের মধ্যে যথেষ্টই প্রভাব বিস্তার করেছে গেরুয়া শিবির। তবুও লোকসভা নির্বাচনের তুলনায় কিছুটা ভাল ফলের আশা পুরুলিয়ায় করছে ঘাসফুল শিবির। তাদের দাবি জয় বাংলা পেনশন প্রকল্প এই জেলায় সাড়া ফেলেছে। এছাড়াও কংগ্রেসের ভোটের একটা বড় অংশ তাদের ঝুলিতে যেতে পারে।

২০১৬ ও ২০১৯-এ দুই জেলায় তৃণমূলের পরিস্থিতি
২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলার ১২ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল দখল করেছিল ৭ টি আসন। পরে অবশ্য বিরোধী শিবিরের দুই বিধায়ক ঘাসফুল শিবিরে যোগ দিয়েছিলেন। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির ১২ টি কেন্দ্রেই এগিয়ে ছিল। আর জেলার বাঁকুড়া ও বিষ্ণুপুর দুটি আসনেই জয়লাভ করেছিল। একদিকে যেমন বিজেপি সৌমিত্র খাঁকে জিতিয়ে আনতে পেরেছিল, অন্যদিকে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মতো নেতা বাঁকুড়ায় দ্বিতীয়বারের জন্য পরাজিত হয়েছিলেন। লোকসভা নির্বাচনে পুরুলিয়া আসন বিজেপির দখলে যায়। বিধানসভা ভিত্তিক ফলাফলে শুধুমাত্র মানবাজার আসনটি তৃণমূলের দখলে ছিল। কিন্তু ২০১৬-র ফলাফলের নিরিখে পুরুলিয়ার নটি আসনের মধ্যে সাতটি দখল করেছিল তৃণমূল আর দুটি পেয়েছিল কংগ্রেস।

তৃণমূল ও বিজেপির অভ্যন্তরীণ রিপোর্টে বিস্তর ফারাক
তবে তৃণমূল ও বিজেপির অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্টে বিস্তর ফারাক লক্ষ্য করা গিয়েছে। তৃণমূল যেখানে বলছে তারা ১৯০ টি আসন পেতে পারে, সেখানে বিজেপি পেতে পারে ১৩০ থেকে ১৫২ টি আসন। এব্যাপারে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূলের দাবিকে অবাস্তব বলেই বর্ণনা করেছেন।