কলকাতা: আবারও বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের নিশানায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন সরকার। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে বিজেপি অনাস্থা আনতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দিলীপ ঘোষের। পাল্টা বিজেপি রাজ্য সভাপতিকে বিঁধলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। দিলীপ ঘোষকে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘অনাস্থা আনতে গেলে ৩০ বিধায়কের সমর্থন দরকার। বিজেপির সেই সংখ্যক বিধায়ক আছে তো? ’’

বিধানসভা ভোটের আগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজনৈতিক আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে উত্তপ্ত বাংলা। এবার তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনার হুঁশিয়ারি বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের। যদিও দিলীপ ঘোষের এই হুঁশিয়ারিকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়।

একটি সংবাদমাধ্যমে দিলীপ ঘোষের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সৌগত রায় বলেন, ‘‘অনাস্থা আনতে গেলে ৩০ বিধায়কের সমর্থন দরকার। বিজেপির সেই সংখ্যক বিধায়ক আছে তো?’’ দিলীপ ঘোষকে কটাক্ষ করে সৌগত রায়ের আরও টিপ্পনি, ‘‘এবার কংগ্রেস ও সিপিএমের সঙ্গে মিলে অনাস্থা আনার কথা বলছেন নাকি উনি?’’

বিধানসভা ভোটের আগে এমনিতেই অস্বস্তিতে শাসক তৃণমূল। ইতিমধ্যেই দল ছেড়েছেন একদা হেভিওয়েট নেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দুর সঙ্গেই তাঁর ভাই সৌমেন্দু রায়ও পরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। বেসুরো গাইছেন রাজ্যের বেশ কয়েকজন মন্ত্রী-বিধায়ক।

আগামী কয়েকদিনের মধ্যে আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীও দল ছাড়তে পারেন বলে রাজনৈতিক মহলে জোর গুঞ্জন। এই পরিস্থিতিতে দিন কয়েক আগেই রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়ানোর কৌশল নেয় বাম ও কংগ্রেস।

অবিলম্বে রাজ্য বিধানসভায় আস্থা ভোট ডাকার দাবি তুলেছে বাম-কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে এব্যাপারে তৎপরতা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান। আস্থা ভোট ডাকা না হলে প্রয়োজনে নবান্নে গিয়ে দরবার করার কথা জানিয়েছেন বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী।

বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান বলেন, ‘‘তৃণমূলের দল থেকে অনেকে চলে যাচ্ছেন। কতজন যাচ্ছেন জানি না। কেউ বলছেন দেড়শোজন আসবেন, কেউ বলছেন একশোজন আসবেন। মন্ত্রীরা যাচ্ছেন, বলছেন আরও মন্ত্রীরা যাবেন। আবার কাউকে বলতে হচ্ছে আমি তৃণমূল ছাড়ছি না।’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘মানুষ ধাঁধার মধ্যে পড়ে গেছে। কী হচ্ছে? সরকার কি আস্থা হারিয়েছে? মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি করছি, আপনার দাবি যদি সত্যি হয়, তৃণমূলে ব্যাপক হারে দলত্যাগ যদি না হয়, তাহলে আপনি বিধানসভায় আস্থা ভোট নিয়ে প্রমাণ করে দিন আপনার আস্থা আছে।’’ একই দাবি বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীরও।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।