স্টাফ রিপোর্টার, তমলুক : বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে ঘুঁটি সাজানো শুরু করলো শাসক তৃণমূল। সম্প্রতি জেলা তৃণমূল ভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলা ও ব্লক স্তরীয় পদাধিকারীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
একুশের নির্বাচনের আগে সংগঠনকে আরও মজবুত করতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যুব তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারীদের ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত শনিবার যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় যুব তৃণমূল পদের নতুন তালিকা এসে পৌঁছায়। সেই তালিকায় পূর্ব মেদিনীপুর যুব তৃণমূলের সভাপতির পদে থাকা পার্থ মাইতিকে রাজ্য যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি পদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
জেলা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে রাজ্য যুব সহ সভাপতি পদে রাখা হয়েছে। সেই সঙ্গে হলদিয়া টাউন যুব তৃণমুলের সভাপতির পদে থাকা আজগর আলিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা যুব তৃণমূলের সহ সভাপতি করা হয়েছে। তবে হলদিয়া টাউন তৃনমূলের সভাপতির পদ কে সামলাবে তা এখনও জানানো হয়নি।
তৃনমূল স্তর থেকে সাংগঠনিক পরিকাঠামো আরও মজবুত করতেই এই ধরনের পরিবর্তন বলে দলীয় নেতৃত্বরা জানিয়েছেন যদিও ভোটের আগে শুভেন্দুর দলবদল কিছুটা হলেও শাসক শিবিরকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে সেসবে পাওা দিতে নারাজ তৃণমূল সুপ্রিমো। আর তাইতো ভোটের মুখে দলকে চাঙ্গা করতে জেলায় জেলায় সংগঠনকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
অন্যদিকে একুশের ভোটকে পাখির চোখ করে সংগঠনকে চাঙ্গা করতে এবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী ৪-৮ জানুয়ারি পর্যন্ত উত্তরবঙ্গে থাকবেন তিনি। চার দিনের এই সফরে উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় কর্মীসভা করবেন অভিষেক।
বিধানসভা ভোটের আগে সাংগঠনিকভাবে আরও কতটা শক্তি বাড়ানো যায় সেব্যাপারে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলবেন অভিষেক। উত্তরবঙ্গে ক্রমেই শক্তি বাড়ছে বিজেপির।
ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের একাধিক তৃণমূল নেতা যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে ভালো ফল করেছে গেরুয়া শিবির। তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্কে থাবা বসিয়ে জয় পেয়েছেন গেরুয়া দলের প্রার্থীরা। উল্টে সংগঠন ভেঙেছে তৃণমূলের।
উত্তরবঙ্গের চা বাগান লাগোয়া এলাকাগুলিতে তৃণমূলের সংগঠনগুলিও হাত-বদল হয়েছে। উত্তরে দলের সাংগঠনিক দুর্বলতা ক্রমেই প্রকট হচ্ছে। একথা ভালোই বুঝেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.