মাজন, চুলের রঙ কিংবা লিপস্টিক। এসব কিনতে আমরা মাসে-মাসে গাঁটের কত কড়ি গচ্চা দিই? কোনও হিসাব আছে? নেই৷ তাই তো? আবার দেখা যায় অনেকে দোকান থেকে টুথপেস্ট কিনেও মনের মতো ঝকঝকে দাঁত পান না৷ ব্র্যাণ্ডের পর ব্র্যাণ্ড পাল্টেও মেটে না সমস্যা৷

এবার বাদ দিন ওসব পেস্ট৷ নিজে বাড়িতেই তৈরি করুন মাজন৷ আপনার দাঁতের জেল্লা আর হাসি থেকে চোখ ফেরাতে পারবেন না পড়শিরাও৷ শুধু মাজনই নয়।

লিপস্টিক কিংবা হেয়ার ডাই-ও এক্কেবারে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বাড়িতেই তৈরি করে নেওয়া যায়। তাহলে আর গুচ্ছের পয়সা খরচ করে বাজারের কেমিক্যাল কিনে কিনে চুল-ত্বকের বারোটা বাজাতে হবে না। দেখে নেওয়া যাক সেই সহজ পদ্ধতিগুলো।

মাজন তৈরির উপায়

উপকরণ:

এক চা চামচ বেকিং সোডা। আধ চা চামচ বিট নুন। এক ফোঁটা লবঙ্গ তেল। কয়েক ফোঁটা জল৷

প্রণালী: উপকরণগুলোকে একটি পাত্রে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা জল দিয়ে একটি থকথকে পেস্ট তৈরি করে নিন৷ এর পর আঙুল বা ব্রাশ দিয়ে দাঁতে মালিশ করুন৷ তারপরে জল দিয়ে ধুয়ে নিন৷ আপনার দাঁত চকচকে হবেই৷

লিপস্টিক তৈরির উপায়:

উপকরণ:

এক চা চামচ ওয়্যাক্স পাউডার। এক চা চামচ হলুদ মাখন অথবা সাদা মাখন। এক চা চামচ নারকেল তেল।

প্রনালী:

একটি পাত্রে জল দিয়ে তাতে ওয়্যাক্স পাউডার, মাখন এবং নারকেল তেল দিয়ে অল্প আঁচে গরম করে দিন৷ এবার লাল রঙের লিপস্টিকের জন্য তাতে দিন ১/৮ চা চামচ বীট পাউডার অথবা এক ফোঁটা ফুড কালার মিশিয়ে দিন৷ এরপর এতে অল্প চন্দন গুঁড়ো এবং পুদিনা পাতা বেটে দিয়ে দিন৷

এবার একটি প্লেটের উপরে ড্রপার দিয়ে একফোঁটার উপরে আরেক ফোঁটা করে ওই গরম থকথকে মিশ্রণটি দিন৷ এবার তা ফ্রিজে অন্তত আধ ঘন্টার জন্য রেখে দিন৷ তাহলেই তৈরি আপনার হোম মেড রেড হট লিপস্টিক৷

হেয়ার ডাই

উপকরণ:

১/৪ কাপ কালো ওয়ালনাট পাউডার। তিন কাপ জল। চা পাতা ভরা দু’-তিনটি টি ব্যাগ। একটি চা পাতা ছাড়া টি ব্যাগ৷

প্রণালী:

একটি পাত্রে জল নিন৷ এবার ফাঁকা টি ব্যাগে কালো ওয়ালনাট পাউডার নিয়ে ছ’ঘন্টা জলে ডুবিয়ে রেখে দিন৷ এবার ওই জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন৷ প্রতিদিন এই ভাবে চুল ধুলে আপনার পাকা চুল প্রায় অদৃশ্য হয়ে যাবে৷ আপনি আরও কালো চুলের জন্য চা ব্যাগের লিকার পাতাও ব্যবহার করতে পারেন৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.

অতিমারীর মধ্যে দূরে থেকে কিভাবে চলছে পাবলিক রিলেশন জানাচ্ছেন পি.আর বিশেষজ্ঞ অরিন্দম বসু।