সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : ‘ও বেটা জি কিসমত কা হাওয়া কভি নরম,কভি গরম’। হাওড়ার তৃণমূলের লড়াইয়ে এখন এই লড়াই হাওয়ায় হাওয়ায়। কখনও নরম, কখনও গরম। লক্ষ্মীরতন শুক্লার ঘটনার পর সেই হাওয়া গরম। তবে দুই পক্ষ নিজেদেরকে সাবধানী করে হাওয়া ঠান্ডা রেখেও গরমের ইঙ্গিত দিয়ে গেলেন।।
‘লক্ষ্মী-ছাড়া’ তৃণমূল! মন্ত্রিত্ব থেকে ইস্তফা লক্ষ্মীরতন শুক্লার। আর এতেই হাওড়ায় ভাঙনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। লড়াই তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা দোষী ঠাওরচ্ছেন রাজীব অমুগামী বনাম অরূপ রায়ের লড়াইকে। kolkata24x7 সরাসরি এ নিয়ে যোগযোগ করে অরূপ রায় ও রাজীব ক্যাম্পের বৈশালী ডালমিয়াকে। তাদের উত্তরে লড়াই স্পষ্ট তবে সবটাই হাওয়ায় হাওয়ায় বলে যেন চালিয়ে দিচ্ছে দুই পক্ষই।
লক্ষী কান্ড এবং হাওড়ায় তৃণমূলের ভাঙন নিয়ে মন্ত্রী অরূপ রায়কে kolkata24x7 সরাসরি জিজ্ঞাসা করে যে, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে যে এই ভাঙনের কারণ তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন , ‘আমি কে? আমাকে দোষী ঠাহর করার কি আছে? আমার জায়গাতেই তো ও এসেছে … এই অভিযোগ তৈরী করা।’.এরপরই তিনি আসল কথাটি।অরূপ রায়ের কথায় , ‘এই অভিযোগ তুলছে এটা ওনাদের ব্যাপার’ অর্থাৎ যেন বুঝিয়ে দিতে চাইলেন লড়াই যদি হয় বা তৈরি হয় রাজীব ক্যাম্পের, তিনি সবাইকে নিয়েই চলতে পছন্দ করেন। লড়াই রইল হাওয়ায় ভেসে।
একই ধরনের কিন্তু উল্টো প্রশ্ন করা হয় রাজীব লক্ষী ক্যাম্পের বৈশালী ডালমিয়াকেও, যে অরূপ রায়ের সঙ্গে লড়াই চলছে তাঁদের। এই প্রশ্নের উত্তরে আবারও স্পষ্ট লড়াই, তবে পুরো খুল্লাম খুল্লা নয়। তিনি বলেন, ‘দিদি আমাদের লড়াই করতে পাঠাননি। আমরা কাজ করি। আমি বা আমরা তো কিছু বলছি না , কেউ যদি ঝগড়া করে কেউ যদি অভিযোগ করে তাহলে সেটা তার ব্যাপার।’ লড়াই শীতের বর্তমান উষ্ণ হাওয়ায়।
প্রসঙ্গত, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রবল জল্পনার মাঝেই মঙ্গলবার মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রাজ্যের ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী তথা হাওড়া সদর তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষ্মীরতন শুক্লা। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দিয়েছেন এবং তা গৃহীত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
এর পাশাপাশি, তিনি হাওড়ার (সদর) তৃণমূল জেলা সভাপতি পদ থেকেও ইস্তফা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, লক্ষ্মীর বিধায়ক পদ থেকেও পদত্যাগ করা কার্যত সময়ের অপেক্ষা। যদিও, প্রাক্তন ক্রিকেটারের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, এখনই তিনি বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না।
ভোটের কয়েকমাস আগেই লক্ষ্মীর এহেন পদক্ষেপ তৃণমূলের গড় বলে পরিচিত হাওড়ায় যে বেশ প্রভাব ফেলবে তা কার্যত মেনে নিচ্ছেন দলের নিচুতলার কর্মীরা। উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে শাসক দলে যোগ দিয়েছিলেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা৷ রাজনৈতিক মহলের মতে, খুব দ্রুত তৃণমূল সুপ্রিমোর স্নেহভাজন হয়ে উঠেছিলেন এই তরুণ নেতা। রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতোই লক্ষ্মীরতন শুক্লার সঙ্গেও হাওড়া জেলার চেয়ারম্যান এবং মন্ত্রী অরূপ রায়ের দ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছিল৷ ফলে কাজের ক্ষেত্রেও বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছিল৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.