বাংলায় বিজেপির গলার কাঁটা হতে চলেছে এনডিএ শরিক! কেমন হতে চলেছে জঙ্গলমহলের ভোট সমীকরণ
ঝাড়খণ্ডে বিজেপির জোটসঙ্গী অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন এবার বাংলায় নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে তারা বিজেপির সঙ্গে মিলে ভোটে লড়বে কি না, তা নিয়ে কোনও কিছুই খোলসা করেনি। মূলত ঝাড়খণ্ড লাগোয়া আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকাগুলিকে টার্গেট করে এগোতে চাইছে আজসু। তবে এতে বিজেপির লোকসান হবে এবং তৃণমূল লাভবান হবে।

১ শতাংশ ভোটেও বড়সড় পেরফের হতে পারে
এদিকে শুধু অল ঝাড়খণ্ড স্টুডেন্টস ইউনিয়ন নয়, ঝাড়খণ্ডের জেএমএম, বিহারের আরজেডিও বাংলায় ভোটে লড়তে চাইছে। যা নিয়ে আরও জমে উঠেছে বাংলার ভোট সমীকরণ। ১ শতাংশ ভোটও যদি এই দলগুলি নিয়ে নেয়, তা সার্বিক ফলাফলের উপর বিশাল বড় প্রভাব ফেলতে পারে।

৩০টি আশনে প্রার্থী দেবে জেএমএম
রাজ্যে যে বিহারী হিন্দি ভাষীদের ভোট একটি বড় ফ্যাক্টর, তা অজানা নেই কারোর। তেমন ভাবেই জঙ্গলমহলে আদিবাসী ভোট একটি বড় ফ্যাক্টর। এই আবহেই জান গিয়েছে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা জানায় তারা রাজ্যের ৩০টি আশনে প্রার্থী দেবে। যা বিজেপির ভোট কাটতে পারে। এবং তৃণমূল কংগ্রেস এর ফায়দা লুটতে পারে।

ফোকাসে জঙ্গলমহল
ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন জানিয়ে দিয়েছিলেন জঙ্গলমহল সহ একাধিক স্থানে প্রার্থী দেবেন তাঁরা। এমনকী জানুয়ারি মাসে হেমন্ত সোরেন এবং শিবু সোরেন রাজ্যে আসছেন জনসভা করতে। শুধুমাত্র প্রার্থী দিয়ে ক্ষান্ত থাকবেন না তাঁরা, পূর্ণশক্তি দিয়েই বাংলার নির্বাচন লড়বে। ফলে মিত্রশক্তি জেএমএম তৃণমূলের শত্রুতে পরিণত হতে পারে আসন্ন ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে। আদিবাসী ভোট নিয়ে তই চিন্তা বাড়ল মমতার।

তৈরি হচ্ছে পার্টি রিপোর্ট
হেমন্ত জানিয়েছেন, তাঁর দলের কিছু সদস্য ইতিমধ্যেই বাংলার কিছু এলাকায় গিয়েছেন। এবং একটি রিপোর্ট দিয়েছেন পার্টিকে। বাংলায় আদিবাসীরা, দলিত শ্রেণির মানুষেরা কেমন অবস্থায় আছেন, তাঁরা কী চাইছেন, তাঁরা কাকে চাইছেন- তা নিয়ে একটা রিপোর্ট তৈরি করেছেন পার্টি নেতারা। তা খতিয়ে দেখেই আদিবাসী এলাকাকে টার্গেট করেছেন জেএমএম সুপ্রিমো। মূলত, ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী কেন্দ্রগুলিকে টার্গেট করেই এগোবেন হেমন্ত।