কলকাতা: বিধানসভা ভোটের আগে ফের শাসক-শিবিরে জোর ধাক্কা। মন্ত্রিত্ব ছেড়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। লক্ষ্মী মন্ত্রিত্ব ছাড়তেই শাসক তৃণমূলকে বিঁধে তীব্র বিষোদগার বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের। ‘তৃণমূল একটি মতাদর্শহীন রাজনৈতিক দল’ বলে তোপ দাগলেন এই বিজেপি নেতা।
জোর ধাক্কা শাসক-শিবিরে। শুভেন্দু অধিকারী ইতিমধ্যেই মন্ত্রিসভা ছাড়ার পর দলও ছেড়েছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়ে একের পর এক সভায় তুলোধনা করছেন তৃণমূলকে। এবার মন্ত্রিত্ব ছাড়লেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন লক্ষ্মী।
ইতিমধ্যেই তাঁর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। শুধু মন্ত্রিত্ব থেকেই পদত্যাগ করা নয়, হাওড়ায় দলের জেলা সভাপতির পদও ছেড়েছেন লক্ষ্মী। তবে এখনও বিধায়ক পদ রয়েছেন লক্ষ্মীরতন শুক্লা। তিনি জানিয়েছেন, বিধায়ক পদে থেকে মানুষের জন্য কাজ করতে চান। তবে অন্য কোনও রাজনৈতিক দলে যাবেন কি না সে বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু স্পষ্ট করে জানাননি লক্ষ্মী।
এদিকে, লক্ষ্নীরতন শুক্লা মন্ত্রিত্ব ছাড়তেই শাসকদল তৃণমূলকে বিঁধে সুর চড়িয়েছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তৃণমূলকে তুলোধনা করে এদিন তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল একটি মতাদর্শহীন রাজনৈতিক দল। আদর্শ ছাড়া কোনও দলই দীর্ঘদিন ধরে চলতে পারে না। তৃণমূলের কেউ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের স্বার্থে বিজেপিতে যোগ দিতে চাইলে স্বাগত জানাব।’’
অন্যদিকে, লক্ষ্মীরতন শুক্লাকে ফের মন্ত্রিত্বে ফিরিয়ে আনা উচিত বলেই মনে করেন বর্ষীয়ান তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। একটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি এদিন বলেন, ‘‘ও ভালো মন্ত্রী। সবাই ওঁকে পছন্দ করত। ওঁকে ফিরিয়ে আনা দরকার। আমি আবেদন করব লক্ষ্মী পদত্যাগপত্র তুলে নিন।”
তিনি আরও বলেন,” দলের তোমাকে প্রয়োজন। দল ছেড়ো না।” অন্যদিকে, নবান্নে লক্ষ্মীর পদত্যাগ নিয়ে মুখ খুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাঁর দাবি, ‘‘লক্ষ্মীর ইস্তফার পিছনে নেগেটিভ কিছু নেই। খেলার জন্যই মন্ত্রিত্ব ছেড়েছে ও!’’ খেলার জগতে আবার পা রাখার জন্যে শুভেচ্ছাবার্তাও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে, তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লক্ষ্মীরতন শুক্লার মন্ত্রিত্ব ছাড়া নিয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘দল তাঁকে বিধায়ক পদ দিয়েছে, মর্যাদা দিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চেষ্টা করেছেন। শুধু রাজনীতি নয়। অন্যান্য পেশার মানুষকেও নিয়ে এসে দায়িত্ব দিয়েছেন। তাঁরা যথেষ্ট ভালো কাজও করছেন। বিজেপির দেউলিয়া দশা। তাই তারা অন্য দলের দিকে এভাবে নজর দিচ্ছে।’’
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.